
১২ই রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের নগর ভবন সংলগ্ন বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদের সামনে থেকে এ জুলুস বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আওলাদে রাসূল পীরে কামেল আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী আল-আবেদী (মা.জি.আ) চেয়ারম্যান ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, সাজ্জাদানশীন- ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফ, অন্যতম সদস্য- মজলিসে শুরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত কেন্দ্রীয় পরিষদ।
প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও ১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র জশনে জুলুস ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদীর নেতৃত্বে আজিমুশ্বান জশনে জুলুস ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সমাবশে আওলাদে রাসূল পীরে-এ-কামেল আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী আল-আবেদী বলেন- বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই দুনিয়াতে রাহমাতাল্লিল আলামিন করে প্রেরণ করা হয়েছ্যে যেটা আমাদের জন্য খুশির আনন্দের। তাই আমরা খুশি উদযাপন করি।
রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে এসে তার। আদর্শের মাধ্যমে জমিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন যা কেয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অনুকরণীয় অনুসরণীয়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা দিন,দিন, সেই মহান আদর্শকে ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মোহে পরে দুনিয়াবি আদর্শকে আজ নিজেরা আপন করে নিয়েছে যা আমাদের ইহকাল পরকালকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরো বলেন, আমরা ২০২৪ইং সালের ৫ই আগস্টের পরে এই দেশে অসংখ্য মব সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখেছি যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে, অসংখ্য ওলী আওলিয়ার মাজার ভেংগে দিয়েছে মসজিদে হামলা পবিত্র কুরআন শরীফ পুরানো, লুটপাট, চারদিকে ছিনতাই, রাহাজানি, চুরি, ধর্ষণ, দূর্নীতিতে সয়লাভ দেশ, আজকে মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা নাই দেশের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি এমনকি আমরা দেখতে পেয়েছি বিগত দিনে স্বয়ং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মবের স্বীকার হচ্ছে এই দেশে, যা আমাদেরকে আইয়ামে জাহেলিয়াত ও এজিদী মুসলমানদের কর্মকান্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া এরাই শয়তানের ন্যায় মিলাদুন্নবী (দঃ) আসলে হারাম বেদাতের ফতুয়া দেয়, হিন্দুদের শিরকী মূর্তীপূজার কার্যক্রমে হাসিমুখে অংশগ্রহণ করে, আবার তারাই সাম্প্রদায়িক দাঙা এই দেশে উগ্রবাদের প্রচারের মাধ্যমে লাগিয়ে থাকে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, ভাতৃত্ববাদের ধর্ম, অসাম্প্রদায়িক চেতনার শিক্ষা দেয় ইসলাম। ইসলামে উগ্রবাদের কোন স্থান নাই। ইসলামের মূল ধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত, যেই আদর্শের মাধ্যমে আওলীয়াকেরামগণ এই দেশে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন। আওলিয়াকেরামগন আমাদেরকে শান্তির ইসলাম ও ত্যাগের ইসলামের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন তাই আমরা সর্বদা রাষ্ট্রের মঙ্গল কামনায়, এই দেশের মানুষের মঙ্গলের স্বার্থে শান্তিপ্রিয়ভাবে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের এই শান্তিপ্রিয় অবস্থানের সুযোগ নিয়ে উগ্রপন্থী এজিদের ইসলামের দলেরা রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে প্রতিনিয়ত।
এসময় জুলুসের নেতৃত্ব দেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অন্যতম সদস্য সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী।
এছাড়া আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন— ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ শাহ্ মোজাদ্দেদী আল আবেদী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তরিকুল হাসান লিংকন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির সভাপতি মো. হাবীবুর রহমান (হাবীব), সিনিয়র সহসভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরমান খন্দকার, অর্থ সম্পাদক মো. শাহ নিয়াজুল ইসলাম (নাঈম), ইসলামিক যুবফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাহাত হাসান (রাব্বী), জেলা যুগ্ম আহবায়ক মো. আলী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান প্রমুখ।