মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর ও বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক ভিত্তি ও গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা' শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস।আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি দীপংকর গৌতম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ. ম. কামাল হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য দুলাল সাহা।
এ সময় আলোচকগণ বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছর বছরেও মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা পূরণ হয়নি। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে রাজনীতি করেছে, কিন্তু তারাও মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেনি। লুটপাট করে মুক্তিযুদ্ধের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে।
গণতন্ত্র বিরোধী একটা আওয়ামী স্বৈরতান্ত্রিক অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আবারো ২০২৪ এসে দুই হাজার ছাত্র জনতার জীবন দিতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা আর ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা মূলত একই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খা।
অন্যদিকে ৭১এর স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে সামনে আসার চেষ্টা করছে। কোন কোন পক্ষ তো মুক্তিযুদ্ধকে একেবারে মুছে ফেলতে চায়। একটা জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দেশের জনগণ।
এদেশের শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষ জীবন দিয়ে ৭১ এ দেশ স্বাধীন করেছিল। বৈষম্যহীন শোষণমুক্ত একটা সমাজ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁদের স্বপ্ন। মধ্যযুগে ফিরে যাবার জন্য ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়নি। প্রকৃতপক্ষে মানুষের মুক্তির সংগ্রাম এখনো চলমান আছে।
সাংস্কৃতিক সমাবেশে কবি রাজলক্ষ্মীর সঞ্চালনায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন প্রগতি লেখক সংঘ ও নারায়ণগঞ্জের কবি বন্ধুরা। আবৃত্তি করেন ভবানী শংকর রায় ও তিথি সুবর্ণা। একক সংগীত পরিবেশন করেন সুজয় রায় চৌধুরী বিকু। নৃত্যে অংশগ্রহণ করে সঞ্জয় ভৌমিকের নির্দেশনায় অর্চনা একাডেমির শিল্পী বন্ধুরা।
সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদ এবং মূকাভিনয় পরিবেশনায় ছিল মাইম ফেস নারায়ণগঞ্জের বন্ধুরা। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।


































