
ফতুল্লায় নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পুরুষদের আকৃষ্ট করে ডেকে এনে আটক করে ব্লাকমেইল করে মুক্তিপণ চাওয়া চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার হলেও চক্রের অন্যতম হোতা মিঠু ওরফে ডাকাত মিঠু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
ব্লাকমেইলিং চক্রের প্রধান ডাকাত মিঠুকে আটক করলে ঐ অঞ্চলের অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে ঢাকার এক কলেজ ছাত্র'র সাথে ফেইসবুকে সম্পর্ক তৈরি করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিঝুম নামের এক ব্লাকমেইলিং চক্রের সদস্য। নিঝুমের সাথে আরো কয়েকজন তরুণী রয়েছে। আর তাদের দিয়ে বিভিন্ন বয়সের পুরুষকে প্রেমের ফেলে তাদের কব্জায় নিয়ে এসে নারীর সাথে ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে মিঠু ওরফে ডাকাত মিঠু।
আর মিঠুর সাথে রয়েছে কয়েকজন সদস্য। ব্লাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমন বহু ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। আর ঢাকার কলেজ ছাত্র আল আমিনকে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে মিঠুর ২ জন সদস্য পুলিশের খাঁচায় বন্দি হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, অপরাধীরা যত বড় শক্তিশালী হউক না কেন প্রকার ছাড় পাবে না। ঢাকার এক ছাত্রকে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। মূলহোতা মিঠু সহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার পোস্তগোলা রাজাবাড়ী এলাকার কলেজ ছাত্র আল আমিনের সঙ্গে নিঝুমের ফেইসবুকে পরিচয় হয় এবং সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সম্পর্কের সুবাদে ৩০ এপ্রিল নিঝুমের ডাকে সারা দিতে ঢাকা হতে ফতুল্লায় আসে।
পরে আল আমিনকে ডেকে এনে নিঝুম সহ অন্য আসামীরা মিলে তাকে ফতুল্লার লালখাঁ পিটিআই ভবনের সামনে একটি টিন বাসায় এনে আটক করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে ১ লা মে আল আমিন বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ৯৯৯ ফোন দেয়।
পরে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার কথা বলে পুলিশ ফোন করলে মিঠু ২ জনকে পাঠালে পুলিশের জালে আটক হয় ২ সদস্য। আটককৃতরা হলো ফতুল্লার লালখাঁ এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৩৫) ও একই এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে আল আমিন।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র আল আমিনের বড় ভাই ইসমাঈল মোল্লা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।