সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ তোপের মুখে পরা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘিরে এখন দেশব্যাপী আলোচনা তুঙ্গে। যদিও তিনি ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, ছাড়া পাওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দুটি পোস্ট করেছেন হেফাজত ইসলামের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা। সেখানে তিনি নিরাপদে আছেন বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন।
প্রথম পোস্টে কোনো ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, দআমি নিরাপদে আছি, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ! কেউ কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না !!'
এরপরেই আরো একটি পোস্ট করেন। সেখানে সোনারগাঁওয়ের তৌহিদী জনতার প্রতি শুকরিয়া আদায় করে বলেছেন, দকোনো ধরণের উত্তেজনাপূর্ণ আচরণ করা যাবে না। ধৈর্য ও সহনশীলতার সহিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।'
আমি নিরাপদে আছি, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ! কেউ কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না !!
জানা গেছে, শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরের পর হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রয়েল রিসোর্ট এর ৫০১ নাম্বার রুমে উঠেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় ছা্ত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী ওই রুমে জোরপুর্বক ঢুকে মামুনুল হককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
তারা মামুনুলহককে অশ্লীলভাষায় গালমন্দ করেন। তার স্ত্রীকে নিয়েও কুরুচিপুর্ন মন্তব্য করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
আরও পড়ুন : সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের হামলা, ভাংচুর
এদিকে মামুনুল হক দাবী করেছেন তার সাথের নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। বার বার তিনি কথাটি বললেও বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তার কথায় পাত্তা না দিয়ে বিয়ের কাবিন দেখতে চান।
মামুনুল হক বলেন তিনি ইসলামী শরীয়া মতে দুই বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
ওদিকে হেফাজতের দাবী পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিডিয়াকে খবর দিয়ে এনে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে।