কি আছে সেই ঘরে আর কি নেই
কবি জানে না,জানে কাব্য সৃষ্টির উপলব্ধি
বাধা যায় না ধরা যায়না-মানে না বারণ
সাধ্য-সত্য সীমানা উন্মোচন করে অহরহ
বর্ন গোত্র যতসব অধরার ইচ্ছা ভাসায় বাতাসে
ঘরখানা কখনো টলেনা এতোটুকু,
সব স্বার্থ এড়িয়ে উপস্থিত হয় মাংসাশীদের সামনে।
বাহ্যিক আকৃতি বিহীন ঘরখানার বসতি কে
সন্ধান মিলল এক দৃষ্টিহীনের
প্রকৃতভাবে সে কোটর বিহীন চোখের মালিক
দেখে সব পাঁজরবদ্ধ এক বিচিত্র আলোয়
চোখ দুটো পরিষ্কার, আপাতত মনে হল অন্ধ
এ মালিক যত নতুন ঘরের নির্মাতা তা সব অন্যের
তার মত প্রাণবন্তদের জন্য।
ঘরখানা বড়ই নিরব নিঃশব্দের বাসিন্দা তলয়
প্রলয় হলেও ভাঙ্গে না,
পরিবর্তন আসে না মোটেও যুদ্ধ-বিগ্রহ
স্পর্শ করে না কাতর কবিতার নিলয়
নিরন্তর নিবিষ্ট দৃষ্টিতে বসতঘরে কবিএকা।