
কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকনোলজি বেইজ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াডের ক্যাম্পেইন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৃষিবিষয়ক এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে এই ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়। সদরের আদর্শ বালিকা স্কুলসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন ২-এর ক্যাম্পেইন।
কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকনোলজি বেইজ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড অর্গানাইজেশন এ আয়োজন করেছে। ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় শুরু হয়েছে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন-২।
৩ হাজারেরও বেশি স্কুল ও কলেজে চলমান এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে যুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরে আদর্শ বালিকা স্কুল, নারায়ণগঞ্জ এ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করা। পাশাপাশি, আধুনিক কৃষির বিভিন্ন দিক যেমন - টেকসই কৃষি, কৃষি প্রযুক্তি, কৃষি অর্থনীতি, এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধারণা দেওয়া।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াডে ক্যাম্পেইন এর কার্যক্রম চলমান থাকবে।
৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবে জুনিয়র ক্যাটাগরি: ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি বা সমমান, সেকেন্ডারি ক্যাটাগরি : ৯ম-১০ম শ্রেণি বা সমমান হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরি: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান।
বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১০ লাখ টাকার গ্র্যান্ড ফান্ড, সার্টিফিকেট, পুরস্কার সামগ্রী, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনের সুযোগ ও রিফ্রেশমেন্ট ট্যুর।
চ্যাম্পিয়নরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা, ল্যাপটপ, শিক্ষা সফরসহ নানা উপহার। রানার্স-আপদের জন্যও থাকছে নগদ অর্থ, স্মার্ট ডিভাইস, শিক্ষা সফর ও অন্যান্য পুরস্কার।