নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল-ইউসুফ খান টিপুর উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয় হামলার নেপথ্য নায়ক আতাউর রহমান মুকুল ও আবুল কাওসার আশাসহ হামলার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য। এ সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেরাই অপরাধীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তারা।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বন্দর থানা পুলিশকে খুনি ওসমান পরিবারের পৃষ্ঠপোষক উল্লেখ করে বলেন, অতীতে আপনারা ওসমান পরিবারের দোসর ছিলেন। শামীম ওসমান আর সেলিম ওসমানের নির্দেশে বন্দরের নিরীহ বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা মামলা নির্যাতন করেছেন।
এখনো আপনারা সেই পরাজিত শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, শত শহীদের রক্তে কেনা এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর খুনি হাসিনার প্রেতাত্মাদের জায়গা হবে না। আপনারা ভালো হয়ে যান, না হলে আমরা আপনাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নামবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান মিঠু, মাহবুব উল্লাহ তপন, বরকত উল্লাহ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদিকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহম্মেদ, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর অর রশিদ লিটন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওলাদ হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা সরকার আলম, শেখ সেলিম আহমেদ, আক্তার হোসেন, নাজমুল হক, নজরুল ইসলাম সরদার, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ রানা, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড. শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন শেখ, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আল আমিন প্রধান, সহ- সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ প্রধান, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিয়াজী, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরিফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।