বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে একটি নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে উঠেছে বিনোদনের অনন্য একটি দৃষ্টিনন্দন বাগান বাড়ি। এতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ফল-ফুল, গাছ-পালার বাগান বেলভেডিয়ার কমিউনিটি ওয়েলনেস সুবিধা ওমেন্স গ্রোভ
অ্যাম্ফিথিয়েটার ও সামাজিক স্থান মনোরম হাঁটার সরু পথ ও প্রাকৃতিক দৃশ্য পাক-প্রণালীর বিশেষ ব্যবস্থা
হেলিপ্যাড সুবিধা পাইন স্ক্রু ট্রি ভিউ থেকে হার্ট-শেপের সুইং পর্যন্ত পুরো বাগান বাড়িটি দর্শনার্থীদের আনন্দ, বিশ্রাম ও পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে নকশা করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র নকশায় নির্মিত এই আল্ট্রামডার্ন বাগান বাড়িটি শুধু একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র নয়; বরং সুস্থতা, দীর্ঘায়ু, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং মাকে সম্মানের এক অনন্য ভিশনের বাস্তবায়ন। এটি বন্দর ও চরঘারমোড়া এলাকার মানুষের জন্য একটি গর্বের স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দুপাশে গুল্ম জাতীয় গাছ রোপণের মাধ্যমে হাঁটার জন্য মনোমুগ্ধকর পথ করা হয়েছে। মাঝে বসানো হয়েছে পাকা ছোট ছোট বেঞ্চ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্থাপন করা হয়েছে লাল নীল ঝাড় বাতি।
সন্ধ্যার পর জ্বলে ওঠে লাল-নীল, হলুদ-সবুজ বাতি। বাগান বাড়ির খোলা জায়গায় কপি হাউস, টি হাউস, বারগারসহ ও বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন রয়েছে । শিশুদের খেলাধুলা ও আনন্দ-বিনোদনের জন্য দোলনাসহ আরও রয়েছে নানা উপকরণ।
চোখ জুড়ানো এ জায়গাটির নাম দেওয়া হয়েছে স্প্ল্যাশ প্যারাডাইসের গ্র্যান্ড ওপেনিং: নারায়ণগঞ্জে ওয়েলনেস, পরিবার ও কমিউনিটির সম্মানে নতুন ল্যান্ডমার্ক।
বন্দর উপজেলার অদূরে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন এ বাগান বাড়ি। অল্প সময়ের ব্যবধানে বাগান বাড়িটি বন্দরে আকর্ষনীয় একটি স্থান হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। যদিও পুরো রূপলাভ করতে পারেনি। তবে ধীরে ধীরে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
সম্প্রতি বাগান বাড়িটির উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠাতা সি আই পি মোহাম্মদ হাসান মিয়া (খোকন)-এর মা হামিদা খাতুন।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চড়গাড়মোড়া এলাকার ধনাঢ্য সিআই পি মোহাম্মদ হাসান মিয়া (খোকন) অক্লান্ত পরিশ্রমে মাকে একটি দৃষ্টিনন্দন বিশ্রামের উপযোগী বাড়ি উপহার দিতেই গড়ে তুলেছেন এই বাগান বাড়িটি । দিন যাচ্ছে আর রূপ ছড়াচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়।
দীর্ঘ, সুখী ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য সামাজিক সচেতনতা তৈরির মূল নীতিতে প্রতিষ্ঠিত স্প্ল্যাশ প্যারাডাইস প্রতিষ্ঠাতা সি আই পি মোহাম্মদ হাসান মিয়া (খোকন) বলেন, এই প্রকল্পটির মূল প্রেরণা আমার মা।
তাঁর ত্যাগ, দোয়া ও অনুপ্রেরণাই আমাকে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সাহস দিয়েছে। স্প্ল্যাশ প্যারাডাইস সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ইতিবাচক জীবনচর্চাকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।”
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর উপজেলা থেকে মাত্র আধা কিলো দূরে এর অবস্থান। বন্দর চড় ঘাড়মোরা খোলামেলা জায়গা ঘেঁষা গ্রামের একপাশে গড়ে উঠেছে এই বাগান বাড়িটি । উপজেলার একমাত্র বড় একটি বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নিয়েছে বাগানবাড়িটি ।
বাগান বাড়িতে ঘুরতে আসা ছালামত উল্যাহ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী প্রতিবেদককে বলেন, বাগান বাড়িটির পাশেই আমাদের গ্রাম। এখানে আমার ছেলে আত্মীয় স্বজনরা মিলে ঘুরতে এসেছি। ভালোই লাগছে।
বাড়ির পাশে পার্কেরর মত বাগান বাড়ি । সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বৃদ্ধ,যুবক,নারী,পুরুষ সকলেই পরিবার নিয়ে বিনোদনের একটি সুন্দর জায়গা। বিশেষ করে শেষ বয়সে মায়েদের বিশ্রামের এক অনন্য বিনোদন কেন্দ্র এটি। এতো অল্প সময়ে ভারি সুন্দর হয়েছে বাগান বাড়িটি।
মাহা নামে এক গৃহবধু বলেন, বিনোদনের ভালো জায়গা ভালো পরিবেশ হয়েছে বাগান বাড়িটি । অবসরে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মন ভালো হয়ে যায়। দীর্ঘদিন এমন একটি পরিবেশ উপহার দেওয়ায় সিআইপি হাসান খোকন ভাইকে অভিনন্দন জানাই।
জনৈক এক শিক্ষক বলেন, বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে সাবদী নদীর পাড় ছাড়া দীর্ঘদিনেও বিনোদনের ভালো জায়গা ছিল না। বাগান বাড়িটি অল্প দিনে বেশ সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে স্থানীয় বিনোদনপ্রেমীদের ভিড়। তবে এমন সুস্থ পরিবেশে পরিবার নিয়ে বিনোদনের জন্য সুন্দর জায়গা।
আয়োজকদের মতে, স্প্ল্যাশ প্যারাডাইস শুধু একটি ব্যক্তিগত বাগান বাড়ি নয়; এটি দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারাকে উৎসাহিত করা, সমাজে ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এবং পরিবার ও কমিউনিটির সঙ্গে স্মরণীয় সময় কাটানোর একটি আইকনিক ল্যান্ডমার্ক।
বাগান বাড়িটিতে প্রতি শুক্রবার বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে স্প্ল্যাশ প্যারাডাইস। আগ্রহীদের আমন্ত্রিত জানানো হয়েছে।


































