সিদ্ধিরগঞ্জের ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আদমজী কবরস্থানের জলাশয় ভরাট করে জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
অভিযোগ আছে, এই চক্রটি কৌশলে সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে জমিটির খতিয়ান তাদের নামে তোলার চেষ্টা করছে।
তবে কার নামে খতিয়ান নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর মধ্যেই জলাশয় ভরাটের কাজ জোরেশোরে এগিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
১৯৫০ দশকে আদমজী জুট মিল চালুর পর শ্রমিক-কর্মচারী এবং স্থানীয় জনগণের লাশ দাফনের সুবিধার্থে কদমতলী এলাকায় ৭ একর জমিতে এ কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০০২ সালের ৩০ জুন আদমজী জুট মিল বন্ধ হলেও কবরস্থানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকে। বর্তমানে আদমজী কবরস্থানের জলাভূমির পরিমাণ ১ একর ৭৯ শতাংশ, যা বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের নিজস্ব সম্পত্তি এবং ওয়াকফ স্টেটভুক্ত আদমজী কবরস্থানের জলাশয় হিসেবে নিবন্ধিত।
সরকারি নথি অনুযায়ী তফসিল মৌজা: সিদ্ধিরগঞ্জ, জে.এল নং: আরএস– ০৪, খতিয়ান নং: আরএস– ০৪ (বাংলাদেশ সরকার পক্ষে শিল্প বিভাগ, আদমজী জুট মিলস),দাগ নং: আরএস– ৬৭১৭।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পর নাসিকের সাবেক মেয়র জলাশয়টি ভরাট করে সেখানে একটি ঈদগাহ নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। এ লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন একটি প্রকল্পও গ্রহণ করে এবং কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।
তবে গত বছর সরকার পরিবর্তনের পর সুযোগ বুঝে একটি চক্র সরকারি জমি দখলে সক্রিয় হয়ে ওঠে। সম্প্রতি আদমজী কবরস্থানের অধীনে থাকা ছোট মসজিদের সামনের জলাভূমিটি দ্রুতগতিতে ভরাট করছে দখলদাররা।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকে ‘ম্যানেজ’ করে তারা সরকারি সম্পত্তিকে নিজেদের মালিকানাধীন দাবি করছে এবং ভূমি অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সহযোগিতায় দখল দেখিয়ে খতিয়ানভুক্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে যথাযথ তদন্ত এবং জলাশয় রক্ষার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।


































