নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হত্যা, তিনজন গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:৩৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হত্যা, তিনজন গ্রেপ্তার

বন্দরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফা আক্তার রোজামনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে ফয়সাল ওরফে বাদশা (২৯), একই এলাকার মৃত আহসান মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (৪০) এবং জামাল মিয়ার ছেলে ইমন (২৫)।

এ ঘটনায় নিহত আলিফার মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে বন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে বন্দর থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় দেলোয়ার হোসেনের বসতবাড়ির সামনে রাস্তার ওপর থেকে আলিফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আলিফা মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার রামপাল ধলাগাঁও (হাওলাদার বাড়ি) এলাকার আলী মিয়ার মেয়ে। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় জামান মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল। আলিফা সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে আলিফা খেলাধুলার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরদিন সোমবার ভোর ছয়টার দিকে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে আলিফার মরদেহ উদ্ধারের খবর পান স্বজনরা।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনটি পৃথক টিম অভিযান পরিচালনা করে। এর মধ্যে র‌্যাব-১১ ফয়সাল ওরফে বাদশাকে, পিবিআই ইসমাঈলকে এবং বন্দর থানা পুলিশ ইমনকে গ্রেপ্তার করে।

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।#

সম্পর্কিত বিষয়: