সিদ্ধিরগঞ্জে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ কচি রহমানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে পাইনাদি পূর্বপাড়া কাঠেরপুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শেখ কচি রহমান (৪৮) ও মনির হোসেন (৩৫)।
স্থানীয়দের মতে, শেখ কচি রহমান শেখ পরিবারের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানসহ একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
পরে তাদের কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪ ধারায় (সন্দেহভাজন) আদালতে পাঠায়। এ নিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তারা বলছেন, শেখ কচি রহমানের ফেসবুক আইডিতে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডের প্রচারণা চলমান থাকা স্বত্তেও পুলিশের এরূপ ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, রাতভর দেনদরবার ও মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে তাদের লঘু ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের হাতে এসেছে।
আওয়ামী নেতা শেখ কচি রহমানকে দ্রুত জামিনে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জনমনে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। নির্দিষ্ট কোনো গুরুতর অপরাধের সংশ্লিষ্টতা তাৎক্ষণিক না পাওয়ায় আপাতত ৩৪ ধারায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
্এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজান বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। খোঁজ নিয়ে জানাবেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, শেখ কচি রহমানের বিষয়ে আমাদের কোনো কিছু জানা নেই। তার বিষয়ে থানায় মামলা মোকদ্দমা না থাকায় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৩৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শেখ কচি রহমানের ফেসবুক আইডিতে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডের প্রচারণা চলমান রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটিও আসার জানা নেই।
অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ৩৪ ধারায় চালান দেয়া হয়েছে এমন একটি অডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের কাছে এসেছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি সত্য নয়।


































