
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, আমরা জুলাইকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। যত ফ্যাসিবাদে আমলে সর্বক্ষেত্রে যে দুর্নীতি, অন্যায় অব্যবস্থা ও অবিচারে যে রাজত্ব কায়েম হয়েছিল বাংলাদেশে সেটাকে আমরা স্মরণীয় করে রাখতে পারব। সেই কারণে আমরা জুলাই কে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।
জুলাই যারা যোদ্ধা হয়েছিল আর যারা আহত ও নিহত হয়েছিল এবং যারা রক্ত দিয়েছিল সকল ছাত্র -জনতাকে আমরা আজকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমরা সবাইকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটি দিতে চাই।
এ আন্দোলনে যারা আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিল যেসব চিকিৎসকরা তাদেরকে ভাই বোন মনে করে চিকিৎসা করেছিল তাদেরকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান দিতে চাই। এই জুলাই বিপ্লবের যে গর্ব ও অহংকার যে ভাগ রয়েছে তারসম ভাগে আমরা তাদেরকেও রাখতে চাই।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডক্টরস্ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) নারায়ণগঞ্জ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার ( ৩ জুলাই) সকাল এগারোটায় খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, এই জুলাই বিপ্লব কারো একার নয়, এনসিপিরও নয়। অন্য কোন রাজনৈতিক দল কিংবা আমি বলবো না যে বিএনপির। কিন্তু এই জুলাই বিপ্লবের বিএনপি'র যথেষ্ট ত্যাগ রয়েছে।
আপনারা দেখেছেন গতই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন বিএনপি'র জাতীয়তাবাদের যে নেতা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এদেশে আমরা ১৫টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের ২৮শে অক্টোবরের পর থেকে আমরা এক দফা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম সক্রিয়ভাবে শুরু করেছিলাম। আর এরই মধ্যে এই ছাত্ররা কোটা আন্দোলন শুরু করেছে কোটা আন্দোলনের তাদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এরপর গিয়ে তারা এসে আমাদের সাথে এক দফা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।
আমাদের আন্দোলনই ছিল এক দফা এরপরে ছাত্র জনতা এসে আমাদের সাথে শরিক হয়ে আন্দোলনকে আরো ত্বরান্বিত করে। এরপর শেখ হাসিনাসহ যারা ফ্যাসিবাদের দোষরও ছিল তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
আন্দোলনে যারা আহত-নিহত হয়েছে তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে। শুধু তাই নয় যারা বিন্দুমাত্র এক গ্লাস পানি নিয়ে রাজপথে এসেছে তাদেরকেও এই আন্দোলনের অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে নিতে হবে। সুতরাং এই আন্দোলন একক কোন ব্যক্তির বা দলের নয়।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন কোন দলের নয়। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি নতুন নতুন দল হচ্ছে। নতুন নতুন দল আসবে আমরা তাদেরকে স্বাগত জানা তাদের বিষয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই।
কেউ যদি আন্দোলনকে কুক্ষিগত করতে চায়, আন্দোলনের সুফল এবং এ আন্দোলনের ঢাবিদার যদি তারাই নিতে চায় এবং জিম্মি করতে চায় কিন্তু সেটা জনগণ মেনে নেবে না আমরাও মেনে না।
এই আন্দোলনে আমাদের ৪২২জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মী কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কেউবা পঙ্গুত্ব নিয়ে বাসায় রয়েছেন। সুতরাং এ আন্দোলনের যারা নিহত হয়েছে তাদের সবাইকে আমাদেরকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
ডক্টরস্ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ( ড্যাব ) নারায়ণগঞ্জ শাখার কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য ডাঃ জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় , প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল বাশার, ডক্টরস্ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ( ড্যাব ) নারায়ণগঞ্জ শাখার কমিটির সদস্য ডাঃ আমির উল মুলক, ডাঃ কাসেদুর রহমান, ডাঃ বয়েজ উদ্দিন, ডাঃ পংকজ নাহা, ডাঃ আবু সালেহ প্রমুখ।