
রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা বালুর গদি গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৮আগস্ট) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পূর্বাচল নতুন শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ৪ নম্বর সেক্টরে রাজউকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গড়ে তোলা বালুর গদির অফিস ভেঙ্গে সঞ্চালন পাইপ বিকল ও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯ টি বালুর গদিতে থাকা বালু খোলা নিলামে দেড় লাখ টাকা বিক্রি করা হয়।
এসময় একই সেক্টরে অবৈধভাবে বসানো শিমুলিয়া গরুর হাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি মহল পূর্বাচল ৪, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেক্টরে রাজউকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ বালুগদি তৈরী করে ব্যবসা করে আসছে।
এতে এসব সেক্টরের সড়ক গুলোর বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এমনকি এসব বালুর গদির পানি ও বালু পানি নিস্কাশনের ড্রেন ভরাট করে ফেলায় স্কুলে পানি ডুকে লেখাপড়ার বিঘ্ন সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন,এ ছাড়া রাজউক থেকে এসব বালুর গদি অপসারনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি তাগিদ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরের আমরা অভিযান পরিচালনা করি।
এ সময় কয়েকটি বালুর গদির অফিস গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৯ টি গদির বালু নিলামের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ সপ্তাহের মধ্যে এসব বালু সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) তাছবীর হোসেন, রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলামসহ রাউজউকের কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য।