নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২০ আগস্ট ২০২৫

 সিদ্ধিরগঞ্জে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:৩৮, ১৯ আগস্ট ২০২৫

 সিদ্ধিরগঞ্জে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

সিদ্ধিরগঞ্জের ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকার আব্দুল মালেক (সাহেব) এর বাড়ি থেকে প্রায় ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার, ২২ ভরি রুপা ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরির মামলার আসামিদের রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একে একে বেরিয়ে আসছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মঙ্গলবার (১৯ অগাস্ট) মামলার এজহার ভুক্ত প্রধান আসামি মো: রাফিন ও আসামি হাসিবুর রহমানকে ১ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে সকালে মামলার এজহার ভুক্ত প্রধান আসামি রাফিনের জিজ্ঞাসাবাদে আদমজী সোনামিয়া মার্কেটের জামান জুয়েলার্সের পর এবার বেরিয়ে আসছে আদমজী নতুন বাজারের ইবনেসিনা জুয়েলার্সের চোরাই স্বর্ন কেনা-চোর গোপন রহস্য।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাফিনের তথ্য মতে ইবনেসিনা জুয়েলার্সের মালিক আব্দুল রব মিয়ার ছেলে সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সৌরভ চোরাইকৃত স্বর্ণ কেনার কথা স্বীকার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: মামুন খালাসী জানান, এ মামলায় এ পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকার আব্দুল মালেক (সাহেব) এর মেয়ে নারায়ণগঞ্জ জজ কোট এর এডভোকেট দেলোয়ারা আক্তার (বেলী)'র দায়ের করা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চুরির মামলা যার নং- ৫৩ (০৭) ২৫। 

এডভোকেট দেলোয়ারা আক্তার (বেলী) র দায়ের করা স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরির মামলায় এজহার ভুক্ত প্রধান দুই আসামি রাফিন ও হাসিবুর রহমানকে গত ৩০ জুলাই গ্রেপ্তার করে।

তাদের তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে আদমজী সোনামিয়া বাজারে জামান জুয়েলার্সের ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম এবং ধনকুন্ডা এলাকার মেকার মনছুর শেখকে চোরাই স্বর্ণ কেনার অপরাধে গ্রেপ্তার করে ২ ভরি ২ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। 

পরে ৩১ জুলাই মামলার ৪ আসামিদেরকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। পরে আসামিদের রিমান্ড শুনানি আবেদন করে জামান জুয়েলার্সের ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম এবং ধনকুন্ডা এলাকার মেকার মনছুর শেখ এই ২ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ডে আনার পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হলে মনছুর শেখ ও নাজমুল ১৬৪ দ্বারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী দিয়ে তাদের নিজ নিজ দোষ স্বীকার করেন। 

আসামী নাজমুল ইসলামের জবানবন্দীতে বেরিয়ে আসে যে, জামান জুয়েলার্সের স্বর্ন ব্যবসার আড়ালের গোপন রহস্য। নাজমুল ইসলাম বলেন, সে জামান জুয়েলার্সের ম্যানেজার, তার মাসিক বেতন ২২ হাজার টাকা এবং সেই দোকানে আরো ৪/৫ জন কর্মচারী আছে।

আদালতে আরো স্বীকার করে যে, জামান জুয়েলার্সের দোকানের সর্বমোট মূলধন ২ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। তাহলে একটি জুয়েলার্সের দোকানে ২ ভরি স্বর্ণ দিয়ে কি ভাবে ব্যবসা করে। একজন কর্মচারীর বেতন ২২ হাজার টাকা অতচো নাজমুলসহ আরো ৫জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন, এজহার ভুক্ত দুই আসামি এবং চোরাই স্বর্ণ কেনার অপরাধে আরো ৩ জন সহ মোট ৫জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪ জন আসামি জেল হাজতে রয়েছে।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাফিনের তথ্য মতে ইবনেসিনা জুয়েলার্সের মালিক আব্দুল রব মিয়ার ছেলে চোরাই স্বর্ণ কেনার অপরাধে সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকেও আদালতে পাঠানো হবে।