
২০০৬ সালের ৩১ জুলাই। সেদিন এডভোকেট মুফিজ সাহেব বাসায় ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে শ্বশুরবাড়িতে তার শালিকার রুমে অবস্থান করছিলেন কাজি আলমাসের ভাই শাহ আলম।
বিষয়টি জানতে পেরে মুফিজের শ্বশুর শাহ আলমকে মারধর করেন। পরে শাহ আলম তার ভাইদের ফোন দিলে তারা বাসার দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে।
এরপরের দিন সকালে মুফিজ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, শ্বশুর ও শালিকার কাছ থেকে শুনেছেন তার বাসায় নাকি ডাকাতি হয়েছে।
এ মামলায় পুলিশ এলাকায় নিরীহ দুই যুবক মাসুদ ও শোখনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ রয়েছে, পরে ভুক্তভোগী জামিনের জন্য মুফিজের চেম্বারে গেলে তিনি পুলিশকে খবর দিয়ে তাকেও গ্রেপ্তার করান।
এরপর শুরু হয় দীর্ঘ আইনি লড়াই। প্রায় ১৯ বছর ধরে মামলা চলার পর গত ১০ আগস্ট জেলা আদালতে রায় ঘোষিত হয়। আদালত ভুক্তভোগীকে সাজা দেন। তিনি ২৯ দিন কারাভোগ করার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান।
ভুক্তভোগীর দাবি, “আমার নামে দায়ের করা মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। আমি প্রায় দুই দশক ধরে হয়রানি সহ্য করেছি। এখন আমি এই মামলার সঠিক বিচার চাই।”