সকল শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া, প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার উপর ভ্যাট আরোপের সিন্ধান্ত বাতিল, করোনা পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলতি বছরের বেতন-ফি মওকুফে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া এবং করোনাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা, শিক্ষার্থীদের বাসাভাড়া, মেসভাড়া মওকুফ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
মঙ্গলবার (৮ জুন) বেলা ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার অর্থ সম্পাদক মুন্নি সরদার, সদস্য ফয়সাল আহম্মেদ রাতুল, সরকারি মহিলা কলেজ শাখার সদস্য নাছিমা সরদার, সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন আজকে হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে করোনা মহামারি আরও বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি করেছে। এরমধ্যে আমাদের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই আদৌ কবে শিক্ষাজীবন স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছে শিক্ষার্থীরা।
দেশে সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। এর প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনই আজ বির্পযস্ত ও অনিশ্চিত। অন্যদিকে গত ৩ জুন আমাদের দেশে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছে। কিন্তু সেই বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ১১.৯১ শতাংশ যা জিডিপির ২.০৮ শতাংশ। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাখাতে বাজেট কমেছে।
অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যা শিক্ষার্থীদের উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ এই করোনা মহামারিতেও শিক্ষা নিয়ে কোন ধরনের রোড ম্যাপ সরকার করেনি এমন কি বাজেটে করোনার জন্য বিশেষ কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
সত্যিকার অর্থে এই বাজেট প্রকৃত পক্ষে ধনী-তোষনের বাজেট হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষাকে পণ্যে পরিনত করেছে , টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতে তে চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত আয়োজন ছাড়া নেওয়া হচ্ছে অনলাইন ক্লাস, এই সংকট দূরিকরনে আমরা মনেকরি সকল শিক্ষার্র্থীদের হাতে ডিভাইস ও ইন্টারনেট ফ্রি করে দিলে কিছুটা হলেও এই সংকট দূর হবে।
এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন রক্ষার্থে সরকারের কোন ধরনের আয়োজন নেই। এমতাবস্থায় সরকার উদাসীন। এটা সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শিক্ষাজীবন বাঁচাতে আজ তাই অতিদ্রুত সকল শিক্ষার্থীদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় তার একটি সুনির্দিষ্টি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মেটানো সম্ভব নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা মওকুফ, সরকারের তরফ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান এবং অনাবাসিক ছাত্রদের বাসাভাড়াÑমেসভাড়া মওকুফে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।


































