নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

০৫ অক্টোবর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিতে শরীফ নিহতের ঘটনায় ২১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:৩৪, ২৫ আগস্ট ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিতে শরীফ নিহতের ঘটনায় ২১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহসান কবির শরীফ নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’সহ ২১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে নিহত আহসান কবির শরীফের বাবা হুমায়ুন কবির মাস্টার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের সাবেক সেতুমন্ত্রী, জুনায়েদ আহমেদ পলক সাবেক আইসিটি মন্ত্রী, সাবেক এমপি এ.কে.এম শামিম ওসমান, কবির হোসেন পিতা মুল্লুকচান, তাজিম বাবু পিতা মৃত সাহেদ আলী, নজরুল ওরফে বুইট্টা নজরূল পিতা ধনু মেম্বার শিমরাইল, জুলহাস উদ্দিন লিটন পিতা রুস্তম আলী মুক্তিনগর, স্বপন মোল্লা পিতা কুদ্দুস মোল্লা রসুলবাগ ৩নং ওয়ার্ড, সাজেদ হোসেন পিতা আক্তার হোসেন বাতানপাড়া মিজমিজি ও তুষার পিতা আব্দুল লতিফ নয়াআটি মুক্তিনগর। এছাড়াও আরো ২০০ জন অজ্ঞাত নামে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

নিহতের বাবা হুমায়ুন কবির মাষ্টার দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও জনতার উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হুকুম ও নির্দেশ দানের মাধ্যমে আওয়ামী ও অন্যান্য সংগঠনের স্থানীয় নেতা-কর্মী দ্বারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসরকের সানারপাড় পিডিকে পাম্প এর পশ্চিম পার্শ্বে উল্লেখিত অন্যান্য আসামীগন বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র, পিন্ডল, বন্দুক, লাইফেল, লোহার রড, রাম-দা, চাপাতি ও ধারালো বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ এবং প্রাণ বিধ্বংশকারী বিস্ফোরক ককটেলসহ সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে সেখানে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়লে আমার ছেলে আহসান কবির শরিফ এর বুকের মধ্যখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ।

তখন আমার ছেলের বন্ধু মারফত আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ সানারপাড় ইস্ট ভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাই, তখন উপস্থিত ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত ডাক্তার, বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় আমার ছেলেকে মৃত ঘোষনা করেন।

হাসপাতালে  আসামীগন পোষ্টমর্টেম না করে দ্রুত দাফন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, অতপর আমরা আসামীগনের হুমকি ও ভয়ে পোষ্ট মর্টেম না করিয়া বাদ মাগরিব জানাযা শেষে স্থানীয় শুকুরসী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।