ফতুল্লা থানা পুলিশ ও র্যাব-১১’র সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইন হত্যার ঘটনার মূলহোতা এজাহার নামীয় আসামি যুবলীগ ক্যাডার সুমন (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে সুমনের গ্রেপ্তারের সংবাদে স্থানীয়বাসীরা তার ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে ফতুল্লার কুতুবআইলস্থ নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুমন ফতুল্লা মডেল থানার কুতুবআইলের মৃত আলাউদ্দিন হাজীর পুত্র।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়নগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক সার্কেল) মোঃ হাসিনুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলো। শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদ ভিত্তিতে ফতুল্লা থানা পুলিশ ও র্যাব কুতুবআইলস্থ সুমনে বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন ও বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫ টার দিকে ফতুল্লা থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইনকে ফতুল্লার পূর্ব লালপুর রেললাইনস্থ বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যাকান্ডের একদিন পর নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে আওয়ামী ক্যাডার আক্তার ও সুমন সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
পুলিশ হত্যা মামলার তদন্তে নেমে সিসিফুটেজ পর্যাচালোনা করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আরিফুল ওরফে আরিফ,আরছ আলী ওরফে আরব আলী ও আজমিরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত এই তিনজন আসামীই পর্যাক্রমে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে আক্তার ও সুমনের জড়িতের বিষয়টি।


































