
সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীতে প্রশাসনের চোখ ফাঁিক দিয়ে মাছের খামারের আড়ালে চলছে একাধিক মামলার আসামি ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসয়ী মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে ইয়াবা জহিরের (৪১) রমরমা মাদক ব্যবসা। একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তারের পরও জহিরের মাদক বিক্রির দৌরাত্ম যেন কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকার মৃত জিলানীর ছেলে জহির ওরফে ইয়াবা জহির ও তার সহযোগীসহ বেশ কিছু মাদক কারবারী দিনে দুপুরে অবাধে অবৈধ মাদক বিক্রি করছে। যা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই মাদক ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, যেখানে মাদক ব্যবসার কারনে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ক্রসফায়ের মতো ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে এবং চলমান এ সকল অভিযানের কারনে অনেক এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। কিন্তু কদমতলী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী জহির চলমান অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, কদমতলী এলাকার রমরমা মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে মাদকের ডিলার জহির ওরফে ইয়াবা জহিরের একাধিক সহযোগী। তার মধ্যে অন্যতম মো: ইসহাক, মো: দেলা, মো: হুমায়ুন ও নাসির । তারা একাধিকবার পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে ফের আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে।
মো: জহির ওরফে ইয়াবা জহির কদমতলী এলাকার বড় ইয়াবার ডিলার হিসেবে পরিচিত। তার এই রমরমা ইয়াবা ব্যবসায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান কার মাদক ব্যবসায়ীরা ওই এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করছে। জহির সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মাদকের সেল্টার দাতা হিসেবে চিহ্নিত এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
হারুন নামে ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, মাদক এই রাষ্ট্র ও সমাজের মারাত্মক একটি ব্যাধি। জহির আসলেই একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। সে কদমতলী এলাকায় মাছের খামার তৈরি করেছে। মূলত মাছের খামারের আড়ালে এই মাদক ব্যবসা করছে জহির।
মাদক ব্যবসা করেই জহির কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে আবার সেই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে। বর্তমান যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
কদমতলী কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, জহিরের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। প্রশাসন সব কিছু জেনেও অজ্ঞাত কারণ বশত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। আমরা সাধারণ অসহায় মানুষ ভাই। যারা মাদক ব্যবসা করছে তারা অনেক শক্তিশালী। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। তাই তিনি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী যত শক্তিশালিই হোক না কেনো তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ওসি।