নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন তখন কিন্তু তিনি ধর্ম বর্ণ কিছুই দেখেননি।
কে বাংলাদেশের হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান তা কিন্তু ভাবেননি তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশপ্রেমী।
দেশ প্রেমিক তাকেই বলে সবার উর্ধ্বে গিয়ে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাইকে ভালোবাসতে পারেন। শহীদ জিয়া যেমন দেশ প্রেমিক ছিলেন আজকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঠিক একই ভাবে দেশপ্রেমিক।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য কালে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে শহরের গলাচিপাস্থ শ্রী শ্রী রামকানাই জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, গত পাঁচই আগস্টের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিকে নির্দেশনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে যাতে করে সাম্প্রদায়িক কোন দুর্ঘটনা যেনো না ঘটে। প্রতিটা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আমাদেরকে পাহারা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা সেই নির্দেশনা পালন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব বাংলাদেশের কোথায় কি হবে জানিনা নারায়ণগঞ্জে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটতে দিবো না দিবো না। আপনারা জানেন আমি সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
আমি বলতে চাই আগামী নয় অক্টোবর থেকে যে শারদীয় দুর্গাপুর উৎসব শুরু হবে আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হল সেই উৎসবকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্নভাবে পালনকর্তা আমরা মহানগর বিএনপি প্রস্তুত আছি।
আপনারা কেউ ভয় পাবেন না এবং কারো কথায় কান দিবেন না। কারণ সন্ত্রাসীরা এখনো নারায়ণগঞ্জের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে। যদি কেউ কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে ডাক ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার দে'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক ( ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটো, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগরের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমলাপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা পরিতোষ কান্তি সাহা, বাসুদেব চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি শংকর সাহা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন পালসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এবং মন্দির ও মন্ডপ প্রতিনিধিবৃন্দ।