
জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি'র মনোনয়ন যুদ্ধ। একদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, অন্যদিকে জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
এ দুজনের যে কোনো একজনের হাতে উঠবে বিএনপি'র দলীয় প্রতীক ধানের শীষ এটা এক প্রকার নিশ্চিত। এই আসনে মনোনয়ন লড়াই থেকে ইতিমধ্যেই বিপাকে গেছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোনয়ন লড়াইয়ে কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। পড়েছেন সংকটে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নতুন সীমানা পুনর্ববিন্যাসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং সোনারগাঁও উপজেলা মিলে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন গঠিত হয়েছে। ফলে জেলা বিএনপির সাবেক এবং বর্তমান দুই কর্ণধার মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এই আসনে মনোনয়ন লড়াইয়ে নেমেছেন।
দুজনার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তৃণমূল থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন তারা দুজন। শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে দলীয় মনোনয়ন অপেক্ষা করছে তা দেখতে সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
এদিকে সীমানা পুনর্বিন্যাসের আগে শুধুমাত্র সোনারগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলীয় প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছিলেন। এবারেও তিনি এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
তবে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্ববিন্যাস হওয়ায় তার সেই আশা গুড়েবালি হয়ে গেছে। কারণ সোনারগাঁ উপজেলার সাথে যোগ হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা। আর এই থানায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গিয়াসউদ্দিন এবং বর্তমানে আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
তারা দুজনেই দলীয় মনোনয়নের জোর দাবিদার। তাই তাদের দুজনকে টপকে মান্নানের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন ছিনিয়ে আনা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধ এখন পর্যন্ত গিয়াস-মামুনের মাঝেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সেই লড়াইয়ে নির্বাচন নিয়ে সংকটে পড়েছেন সোনারগাঁয়ের মান্নান।