
পাষন্ড ছেলে মিজানুর রহমান।
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্দ পিচকামতাল গ্ৰামে কৌশলে বাবা হযরত আলীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড বড় ছেলে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এদিকে বিষয়টি জানার পর সন্তানদের জমি ফেরতের অনুরোধ করলে বাবাকে মারধর করে ওই ছেলে ও তার স্ত্রী। উপায় না পেয়ে ভূক্তভোগী বাবা হযরত আলী বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ তিনি বলেন, আমার বড় ছেলে মিজানুর রহমান তার স্ত্রী সালেহা বেগম এবং তাদের পালিত সহযোগী মাকসুদ ও লিটনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আমার ছেলে পাখি মিয়া (৩৫), নজরুল ইসলাম (৩৮) দ্বয় দুবাই প্রবাসী।
তারা বিদেশে থাকায় বড় ছেলে মিজান আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাইয়া জোর পূর্বক আমার নামীয় বিভিন্ন দাগে ৬৮ শতাংশ সম্পত্তি লিখিয়া নেয়। আর মিজানের পালিত সহযোগী মাকসুদ ও লিটন সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করে।
আমি এই বিষয়ে ছেলেকে কিছু বলিতে গেলে তাঁরা বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি ধামকিসহ মারপিট করতো। আমার ছেলে আমাদের ভরন পোষনের দায়ীত্ব পালন করতো না।
তিনি আরও বলেন, গত ২৮ আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লাঙ্গলবন্দ পিচ কামতাল নন্দিবাড়ী সাকিনস্থ ছেলে নিজামের বাড়ীতে গিয়া আমার প্রয়োজনে একটি দলিলের কপি চাহিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে ।
আর আমি নিষেধ করিলে সকল আমার ছেলে ও তার স্ত্রীসহ তার সহযোগীরা আমাকে এলোপাতারী কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। এবং আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করিয়া আমাকে তাড়াইয়া দেয়।
জানাগেছে, মিজানুর রহমান এলাকার ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত। সে রাজাকার পুত্র মুছাপুর ইউনিয়ন ও উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে এই সকল অপকর্ম করছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ মা-বাবা ভাই-বোন থেকে শুরু করে এলাকার নিরহ মানুষ।
নিরীহ মানুষের জায়গা সম্পত্তি দখল করে জোরপূর্বক নামমাত্র টাকা নিয়ে লিখে নিয়ে যায়। তার রয়েছে বিশাল বাহিনী তার ভয়ে এলাকার নিরীহ মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। শুধু তাই না পরের জায়গা জমি আত্মসাত করতে করতে এখন আপন বৃদ্ধ বাবাকে মারধর দুই ভাই ও বোনকে না দিয়ে বাড়ি ও ফসলি সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে যায়।
ভূক্তভোগী হযরত আলীর স্ত্রী ও মিজানুর রহমানের মা বৃদ্ধ আয়েশা বেগম বলেন, আমাদের বড় পোলা মিজান আমার স্বামীকে মিথ্যা কথা বলে বিদেশে থাকা দুই পোলা ও এক মেয়েকে না জানিয়ে বাড়ি ও জমিসহ ৬৮ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক লেইক্কা লইয়া গেছে।
আর আমি তার প্রতিদান করলে পোলা ও তার বউ আমাকে মারধর ও ঘর দুয়ারে ভাংচুর চালায়। আমরা মাকসুদ চেয়ারম্যান ও মনির মেম্বারের কাছে কয়েকবার বিচার দিলেও তারা তা করেননি। কারন আমার পোলা মাকসুদ চেয়ারম্যানের লোক।
সেই প্রভাব খাটিয়ে বাড়ি, জমির সাথে চারটা পুকুরও দখল করে ছাড়া মাছ ধরে নিয়ে যাইতাছে। আমি প্রশাসনের কাছে তার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মামলার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বাদী ও বিবাদীর সাথে কথাও বলেছি । তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।