
চার বছরের ফুটফুটে শিশু মোসা জান্নাতুল। এখনো কিছুই বুঝার বয়স হয়নি তার। বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার স্বাদও বুঝে না শিশুটি। যে বয়সে পুরো পরিবার মাতিয়ে রাখার কথা সে বয়সেই কখনো হাসপাতালের বেডে কখনো বা বাড়ীর বিছানায় কাতরাতে হচ্ছে।
কারণ ছোট্ট শিশু কচি শরীরে ফুটন্ত গরম পানিতে জ্বলসে গেছে মাথা, মুখ মন্ডল,শরীর ও দু হাত। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে পরিবারটিকে।
শিশু মোসা জান্নাতুল ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুরের খোঁজপাড়ার আব্দুল হাইয়ের ভাড়াটিয়া বালু টানার শ্রমিক মো সুমন মিয়ার মেয়ে।
শিশুটির বাবা সুমন মিয়া জানান, গত ২০ দিন পূর্বে দুপুর একটার দিকে তার শিশু মেয়ে ঘর থেকে বের হলে পাশের রুমের এক মহিলার সাথে ধাক্কা লাগে। ঐ মহিলার হাতে ছিলো ফুটন্ত গরম পানি ভর্তি পাতিল। যা তার মেয়ের শরীরে পরে যায়। এতে তার মেয়ের মাথা মুখ-মন্ডল ও শরীর এবং হাত জ্বলসে যায়। প্রথমে তাকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে তাকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রায় ১৫ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
ইতিমধ্যেই অর্ধ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে চিকিৎসার পিছনে। চিকিৎসার জন্য ব্যয় করা টাকা তাকে মানুষের নিকট থেকে হাওলাত করতে হয়েছে।
ডাক্তার বলেছে সাত দিন পরপর হাসপাতালে নিয়ে যেতে। মূখমন্ডলের দিকট বেশ জ্বলসে গেছে মাথার চুলের একাংশের ও একই অবস্থা। চিকিৎসা চলবে আরো কতোদিন তা তিনি বা ডাক্তার নিশ্চিত করে বলতে পারেনা।
তাই সবার কাছে অনুরোধ করছি শিশুটির সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য।