নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪

নারায়গঞ্জে ১২০ কারখানায় নেই ইটিপি, দূষণের কবলে পরিবেশ, দূর্ভোগে নাগরিক জীবন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০৩:২৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নারায়গঞ্জে ১২০ কারখানায় নেই ইটিপি, দূষণের কবলে পরিবেশ, দূর্ভোগে নাগরিক জীবন

কলকারখানার ক্যামিকেলযুক্ত বিষাক্ত বর্জ্যে পরিবেশ দূষণ নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর ধরে এটা হয়ে আসছে। অথচ এই দূষণরোধে পরিবেশ আইনে শিল্প-কারখানায় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। নারায়ণগঞ্জের ১২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানেই ইটিপি নেই। এসব শিল্পকলখানার রঙ, বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি পাশের খাল-বিল, নালা ও ড্রেনের মাধ্যমে মিশে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। বিবর্ণ আকারের সেই পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গার পানি। আবার আবাসিক এলাকার উপর দিয়ে ড্রেন ও খালের মাধ্যমে প্রবাহিত বিষাক্ত পানির দূর্গন্ধে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে। তবে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, ইটিপিবিহীন কারখানার বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত এক বছরের তারা ২০টি কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এবং ১৮টি কারখানার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কিন্তু তারপরও ইটিপির আওতায় আসছে না কারখানাগুলো। যার কারণে দূষণের কবল থেকে নিস্তার মিলছে না নারায়ণগঞ্জবাসীর। ফলে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণা বলছে, দেশে বায়ু দূষণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ।


অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা খরচ বাঁচানোর জন্য রাতের আঁধারে তাদের শিল্প-কারখানার বর্জ্য কোনও শোধন না করেই সরাসরি খাল-বিল বা নালায় ছেড়ে দিচ্ছে।


ফতুল্লার লালখা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আউয়াল মিয়া জানান, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের খাল, বিল, ড্রেন, নালা বা ডিএনডির পানি নিস্কাশনের সব খালের পানির রঙ লাল ও কালো হয়ে গেছে। গত ১০ ১৫ বছর ধরে এই অবস্থার মধ্যেই এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে আসছেন। কিন্তু শিল্পকাখানার মালিকরা তাদের ব্যবসার কথা চিন্তা করলেও সাধারণ মানুষের কোনও চিন্তা তাদের নেই।


পাগলা এলাকার বাসিন্দা রেশমা বেগম, সাদিয়া বেগম, জয়নাল মিয়া অভিযোগ করেন, যেসব কারখানায় ইটিপি প্লান্ট রয়েছে এসব কারখানার অনেক মালিক খরচ বাঁচানোর জন্য প্লান্ট চালায় না। ইটিপি বন্ধ রেখে সরসারি বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ছেড়ে দিচ্ছে খাল-বিলে। এ কারণে নারায়ণগঞ্জে দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।


পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জে তরল বর্জ্য নিগর্মণ হয় এমন শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৫০টি। এরমধ্যে ১২০টি প্রতিষ্ঠানে ইটিপি বসানো হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার-বার তাগাদা দেওয়া হলেও তারা পরিবেশ আইন মানছে না। ইতোমধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও মামলা করা হলেও দ্বিধাহীন ভাবে চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ইটিপি আছে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান ইটিপি ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। 


এদিকে এসব প্রতিষ্ঠানকে ২০২১ সাল থেকে ২০২২ এর মে পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও থামছে না নদী দূষণ। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা হয়েছে।  হাইকোর্টে রিট হয়েছে ২৩টি। 


জানা যায়, বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে প্রতিটি শিল্প-কারখানায় ইটিপি বা বর্জ্য পরিশোধন প্রকল্প বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে প্রতিষ্ঠান মালিকদের মধ্যে তেমন কোনো সাড়া মেলেনি। পরবর্তীতে ২০১০ সালের জুন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু  নারায়ণগঞ্জে ইটিপি বিহীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে। এর ফলে নদীতে থাকা জীববৈচিত্র্য পড়ছে হুমকিতে। শিল্প বর্জ্যের কারণে শীতলক্ষ্যা এখন মুমূর্ষ প্রায়।


পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, ইটিপি বিহীন ১২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলেই রয়েছে ৮৬টি প্রতিষ্ঠান। বাকী ৩৩টি আড়াইহাজার, সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জে একং ১টি বন্দরে। ফতুল্লায় ইটিপি বিহীন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, কুতুবআইল এলাকার আশাহী নীট ডাইং, এম এম ডাইং, পোষ্ট অফিস রোড়ের আর এস কে ডাইং, মেসার্স খান ব্রাদার্স টেক্সটাইল মিলস লি:, জোবায়ের ডাইং, লেমন ডাইং, আল-আমিন ওয়াশিং, সালেহীন ফেব্রিক্স, দাপা ইদ্রাকপুরের মেসার্স দিপ্তি ডাইং এন্ড নীট ফিনিশিং মিলস লিঃ, আমিন ডাইং, হোসেন ওয়াশিং প্লান্ট, শিয়াচর এলাকায় মেসার্স শাহনুর ট্রেডার্স এন্ড ফেব্রিক্স লিঃ, ওয়াপদারপুল এলাকার অন্তু ডাইং, নিউ হাজীগঞ্জ এলাকার এস আর এস নিট ডাইং, এ বি এম ডাইং এন্ড ওয়াশিং প্লান্ট, সস্তাপুর এলাকায় মেসার্স রুবেল ডাইং এন্ড প্রসেসিং ইন্ডাঃ, জামিল ডাইং, রামারবাগ এলাকার কদম রসূল ডাইং, নন্দলালপুর এলাকার রূপনগর ডাইং, পূর্ব ভূঁইগর এলাকার তাজ ডাইং, শিবু মার্কেট এলাকার বন্ধু ডাইং এন্ড প্রসেসিং, বিসিকের শাসনগাঁও এলাকার মুজাহিদ কালার টাচ, এনায়েতনগর এলাকায় রোশওয়া ফেব্রিক্স লিঃ, কাশিপুরে উজ্জল ডাইং মিলস, সম্রাট ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেড, পূর্ব ইসদাইর এলাকার মেসার্স লোকনাথ ডাইং, এ এফ লন্ডি, মেসার্স বি এল ওয়াশ, এন এ ডাইং, ইসদাইর এলাকার বাংলাদেশ ডাইং এন্ড প্রসেসিং ইন্ডা:, সোনালী ওয়াশিং, বটতলা এলাকার সুমনা ডাইং এন্ড ওয়াশ, উত্তর ইসদাইর এলাকার সোহেল ডাইং, পশ্চিম মাসদাইর এলাকার ন্যাশনাল টেক্সটাইল এন্ড প্রসেসিং ইন্ডাষ্ট্রিজ। গাবতলার মোড় এলাকার হারুন ডাইং, পূর্ব-ইসদাইর এলাকার মজুমদার ওয়াশিং প্লান্ট, দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মুন ডাইং, পিলকুনি এলাকার মেসার্স রুমা ফেব্রিক্স, হাজীগঞ্জের রকি টেক্সটাইল মিলস , পাগলার বোম্বে ডাইং এন্ড ফিনিসিং মিলস, বোম্বে ফেব্রিক্স লিঃ, পূর্ব ভূঁইগড়ের কাজী ওয়াশিং প্লান্ট, লামাপাড়া এলাকার পিঠালীপুরের রূপসী নীটওয়্যারস লিঃ, পঞ্চবটি এলাকার ইম্পেরিয়াল ডাইং এন্ড হোসিয়ারী মিলস, নন্দলালপুরের রহমানিয়া ছাপাখানা, এনায়েতনগরের এশিয়ান ফেব্রিক্স মিলস লিঃ, ওয়াপদারপুল এলাকার থ্রেড প্লাস ডাইং, মেসার্স ফাতেমা ইয়ার্ণ ডাইং, নিউ হাজীগঞ্জ এলাকার কালার ফেয়ার ওয়াশিং প্লান্ট, ভোলাইল এলাকার রমেজ ডাইং, শাসনগাঁও এলাকার সরকার নিট ডাইং এন্ড ফিনিশিং, বাড়ৈভোগ এলাকার নানুপুর টেক্সটাইল এন্ড গার্মেন্টস, সস্তাপুর এলাকার আকবর ডাইং, কুতুবাইলের মমতাজ ডাইং এন্ড প্রসেসিং, জিলানী ডাইং, রামারবাগের মেসার্স হাসান ডাইং এন্ড ফেব্রিক্স, হাজীগঞ্জের রাইডার থ্রেড এন্ড এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ, এনায়েতনগরের রশওয়া কম্পোজিট, হাজীগঞ্জের ফ্রেন্ডস ডাইং এন্ড ফিনিশিং মিলস লিঃ, বিসিকের ফপটেক্স (প্রাঃ) লিঃ, নন্দলালপুরের পারভেজ ডাইং, কুতুবআইলের মেসার্স শাকিল টেক্সটাইল মিলস, কুতুবাইলের বিসমিল্লাহ নীট ডাইং এন্ড ফিনিশিং মিল, হোসাইন টেক্সটাইল, বটতলা রেললাইনের শিমুল ডাইং, রাজ্জাক ওয়াশিং, পূর্ব লামাপাড়ার কালার টেক্স লিঃ, রামারবাগের টি এইচ ডাইং, মিশওয়্যার হোসিয়ারী মিলস, লালপুরের এম আর বি প্রিন্টিং, নন্দলালপুরের জি এম ডাইং এন্ড স্কিন প্রিন্টিং প্রাঃ লিঃ, পাগলার আল ফাত্তাহ টেক্সটাইল, পাগলার রূপম ডাইং এন্ড প্রিন্টিং ইন্ডাঃ লিঃ, সস্তাপুরের কাদির ডাইং, আয়ের ডাইং, এস এস ডাইং, হলি টেক্সটাইল, হাজী রসুল ডাইং, ওশান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, কাঠেরপুলের শিশির ডাইং, কালার ক্রিয়েশন লিমিটেড, কর্ণফুলি টেক্সটাইল মিল, নিউ হাজীগঞ্জের এইচ কে ডাইং, এনায়েতনগরের গোল্ডেন ডাইং এন্ড হোসিয়ারী মিলস লিমিটেড।


রূপগগঞ্জের বরপা এলাকায় অবস্থিত খালেক টেক্সটাইল এন্ড ফেব্রিক্স, রূপসী এলাকার নিউ সম্রাট ডাইং, মিঠাবো এলাকার অনন্ত পেপার মিলস লিঃ, মুরাপাড়া এলাকার লিনা পেপার মিলস লি., টাটকী এলাকার জয়া নিটিং লিঃ, উত্তর রূপসী এলাকার দিপা ফুড প্রোডাক্টস লিঃ, ভূলতার জামান ডাইং এন্ড ফেব্রিক্স লি:।


সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ি এলাকার করতোয়া এ্যাপারেলস লিঃ, জালকুড়ি পূর্বপাড়া এলাকার শাকিল নিটেক্স, শিমরাইল এলাকায় ইউনিক থ্রেড, উত্তর জালকুড়ি এলাকার ভীবজিউর নীট কম্পোজিট, জালকুড়ির জাগরণ টেক্সটাইল মিলস লিঃ, জালকুড়ি পূর্বপাড়ার সীমা নীটওয়্যার এন্ড ডাইং প্রাঃ লিঃ, জালকুড়ির সায়মা নীট ফ্যাশন, জালকুড়ি এলাকার জালকুড়ি ডাইং, গোদনাইল ইব্রাহীম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস, সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো রোডের রান্স এ্যাপারেলস লিঃ, পাঠানটুলী এলাকার রাজ ফেব্রিক্স। আড়াইহাজারের দুপ্তারা এলাকার  নিউ আলম ডাইং , একই এলাকার মায়ের দোয়া ডাইং, হক কোয়ালিটি ডাইং, সুমি প্রিন্টিং এন্ড উইভিং ইন্ডাঃ, নিউ বেক্সি ডাইং এ জীন প্রিন্টিং ওয়ার্কস, আল বারাকা ডাইং প্রিন্টিং প্রসেসিং মিলস লি:, হৃদয় ডাইং এন্ড মেসার্স শওকত আলী টেক্সটাইল, হৃদয় ডাইং, অনি ডাইং এন্ড ইউসুফ আলী টেক্সটাইল, শওকত টেক্সটাইল, ঐশী ডাইং, এম আর ডাইং, আব্দুর রব ডাইং, বিনাইচর এলাকার এ আর ডাইং, বন্দরের মদনপুর এলাকার গাজীপুর বোর্ড মিলস।


 এ বিষয়ে পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি এডভোকেট এ বি সিদ্দিক বলেন, নদী রক্ষার আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে শীতলক্ষ্যা তার যৌবন হারাচ্ছে আর বুড়িগঙ্গার অবস্থা আরো করুণ। জেলার ইটিপি বিহীন ডাইং ও শিল্পকারখানাগুলো নদী দূষণের প্রধান কারণ। অনেক প্রতিষ্ঠানের ইটিপি থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করছে না। নদীর পানি ক্যামিকেলের দূষিত পানিতে কালো হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে পানিতে প্রচুর দূর্গন্ধ। নদী বাঁচাতে হলে দূষণের দায়ে সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।


নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ইটিপি থাকা বাধ্যতামূলক। ইটিপি না থাকলে উৎপাদন কাজ চালানোর অনুমতি নেই। ইটিপি বিহীন কারখানাগুলোর তালিকা করে তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এবং আমাদের এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে জরিমানা করা হয়েছে। সেখানে একটা নির্দেশনা দেয়া আছে যে আপনি ৩ মাসের মধ্যে ইটিপি করবেন। এটা সময় দেয়া। কারণ আইনে একটা বিধান আছে তাদের সময় দেয়া। তবে এই সময়ের মধ্যে যারা ইটিপি করছে না তাদের আবার পরবর্তীতে ডেকে ওয়ার্নিং দেয়া হচ্ছে। যেহেতু তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মানছে না, ইটিপি করছে না। তাদের দূষণটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন ২০টা কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। এবং এক বছরে ১৮টা কারখানার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। প্রতিমাসেই আমাদের এই কার্যক্রম চলমান আছে। সবশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইটিপি বিহীন ৩টি প্রতিষ্ঠানের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে সকল কারখানায় ইটিপি আছে তা ব্যবহার হচ্ছে কি না তাও মনিটরিং করা হচ্ছে। 
 

সম্পর্কিত বিষয়: