
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যে ‘তাপকর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের’ অংশ হিসেবে অংশীজন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং ইকলি সাউথ এশিয়ার পরিচালনায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের, টেকনিক্যাল লিড দীপক ভৌমিক, ইকলি সাউথ এশিয়ার কান্ট্রি প্রতিনিধি মো. জুবায়ের রশিদ, প্রজেক্ট অফিসার চৈতি দেব, ম্যানেজার সাদেক মাহমুদ, স্থপতি নুরুজ্জামান ঢালিম, সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাস, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হূমায়ুন কবির প্রমুখ।
বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইকলি সাউথ এশিয়ার প্রতিনিধিরা বলেন, প্রতি বছর নারায়ণগঞ্জ নগরীর তাপমাত্রা বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে। ধীরে ধীরে নগরীর পানির সোর্স, গাছপালা কমছে। যা নগরবাসীর জীবন-যাপনে নানা ধরণের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
প্রায় প্রতিবছর একাধিক হিট ওয়েব হচ্ছে। যা মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক, মানসিক অসুস্থ্যতাসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাপমাত্রার কারণে হওয়া এসব সমস্যা প্রতিরোধের লক্ষে দেশের প্রথম নগর হিসেবে নারায়ণগঞ্জে তাপকর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পে কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে নারায়ণগঞ্জ নগরীর তাপমাত্রা কমানোর যায় এবং এ কাজে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে সে পরিকল্পনা করা হবে। এক্ষেত্রে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
সভাপতির বক্তব্যে নাসিকের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশনে হিট অফিসার নিয়োগ দেয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। যদিও সবাই হাস্যরস করেছে কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, যেসব নগরীতে তাপমাত্রা বাড়ছে ওইসব জায়গায় হিট অফিসার থাকা প্রয়োজন। খুব গরম, এসি ব্যবহার করলেন কিন্তু এটা সমাধান না।
কারণ এসি থেকে কার্বন বের হচ্ছে যা পরিবেশ দূষণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে। সবকিছুই একটি অন্যটির সাথে জড়িত। হিট অফিসার বা তাপকর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ প্রাকৃতিকভাবে কিভাবে কিভাবে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।