নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪

শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দাপুটে জয় টাইগারদের

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৩:৪৮, ২৩ জুলাই ২০২১

শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দাপুটে জয় টাইগারদের

টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শততম ম্যাচটি দারুণভাবে রাঙালো টাইগাররা। হারারেতে বৃহস্পতিবার স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।


আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ১৫২ রানে অল আউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দুই উইকেট হারিয়ে সাত বল হাতে রেখে। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল টাইগাররা। শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।


জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকে খুব সাবধানী ছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম। সময়ের তালে আস্তে আস্তে বাড়ে রানের গতি। দুজনই সাবলিল গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন।


উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হয় শতরানের উপর গিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে নিজের চতুর্থ ফিফটি করার পরই রান আউট হন সৌম্য সরকার। ৪৫ বলে বরাবার ৫০ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কার মার। বাংলাদেশের দলীয় স্কোর তখন ১ উইকেটে ১০২ রান।


শুরুর জুটিতে বাংলাদেশের আগের সেরা ছিল ৯২। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই গত বছর মার্চে এই জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এবার হলো নতুন রেকর্ড।


নাঈমের নতুন সঙ্গী তখন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেখেশুনে খেলছিলেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। তারপরও থিতু হতে পারেননি। মুজরাবানির দারুণ এক থ্রোয়ে তিনিও রান আউট। ১২ বলে এক চারে ১৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ১২৩ রানে পড়ে বাংলাদেশের দুই উইকেট।


জয়ের জন্য বাকি পথটা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন নাঈম ও সোহান। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করে করে অপরাজিত থাকেন নাঈম। ৫১ বলে তিনি করেন ৬৬ রান। তার ইনিংসে ছিল সাতটি চারের মার। ৮ বলে এক চার ও ছক্কায় ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।


এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পতন স্বাগতিকদের। ৭ রান করা মারুমানিকে ফেরান মোস্তাফিজ। অনেকটা দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার।


এরপর মাধেভেরে ও চাকাভা ছোঠখাট ঝড় বইয়ে দেন। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫০ রান। দ্বিতীয় জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ৭৪ রানের মাথায়। ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। নেন নিজের বলে নিজেই নেন ক্যাচ। ২৩ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাধেভেরে।


তবে ভয়ংকর ছিলেন চাকাভা। দুর্ভাগ্যবশত তিনি হয়ে যান রান আউট। আর সেটা উইকেটরক্ষক সোহানের চতুর থ্রোতে। ২২ বলে ৪৩ রান করেন চাকাভা। তার ইনিংসে ছিল পাচটি চার ও দুটি ছক্কার মার।


এর পর থেকেই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। শরিফুলের একই ওভারে শূন্য রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন ডিওন মায়ার্স। তাতেও ফেরান শরিফুল। ২২ বলে ৩৫ রান করে বোল্ড হয়ে যান তিনি।


এরপর আর জিম্বাবুয়ের কোন ব্যাটসম্যান তেমন মাথা তুলে দাড়াতে পারেনি। লুক জংউই করেন ১৮ রান। বাকিদের রান ছিল দুই অঙ্কের নিচে।


বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে দেন ৩১ রান। ৪ ওভারে ২৩ রানে দুটি উইকেট নেন সাইফউদ্দিন।

 

সেখানে ৩ ওভারে ১৭ রানে শরিফুল ইসলাম পান দুই উইকেটের দেখা। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব পান এক উইকেট। ৪ ওভারে তিনি দেন ২৮ রান। সৌম্য পান এক উইকেট।