নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

০৯ মে ২০২৪

মানবেতর জীবন যাপন কাটছে বন্দরের সিএনজি-অটো চালকদের

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:১২, ১১ জুলাই ২০২১

মানবেতর জীবন যাপন কাটছে বন্দরের সিএনজি-অটো চালকদের

সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনে বন্দরের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটে তেমন ভাবে আর সিএনজি-অটো চোখে পড়েনা। বন্দর উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আগের মত কাজে না বেরোতে পেরে বন্দর খেয়াঘাটের কর্মরত অটোচালক পরিবারের মধ্যে চাপাকান্না জমতে শুরু করেছে। যার ফলশ্রুতিতে তাদের দিনাতিপাত খুবই কষ্টে কাটছে। সামনের দিনগুলি পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তারা।


সুত্রে জানা যায়, বন্দরে ১০টির অধিক রুটে প্রায় ১৫’শ বেশি সিএনজি-অটো গাড়ী চলাচল করে। এক্ষেত্রে কারো নিজের গাড়ী কিংবা কেউ ভাড়ায় চালায়। তবে ভাড়ায় চালনাকারী চালকের সংখ্যায় বেশি। ভাড়ায় চালিত চালকদের প্রতিদিন সিএনজি ভাড়া গুনতে হয় ৭শ’ টাকা আর অটোচালকদের জন্য ৬শ’ টাকা।

 

ভাড়ায় চালিত অটো-সিএনজি চালকদের ভাড়া পরিশোধ করে রোজগার ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা। মাসিক বেতন না থাকলেও মাসের শেষে নয় থেকে দশ হাজার টাকা রোজগার করেন অটো-সিএনজি চালকরা। বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে সাবদী, মদনগঞ্জ, চিনারদী, নবীগঞ্জ বাজার, ফরাজীকান্দা থেকে মদনপুর রোডে অটো চলে।


অটো চালকদের দাবি, লকডাউনে আমাদের রাস্তায় বেরোতে বারন করা হয়েছে। পেটের জ¦ালা সহ্য করতে না পেরে আমরা গাড়ি নিয়ে বের হলে আমাদেও গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। অটোর ব্যাটারী খুলে নেওয়া হয়। গাড়ীর ব্রেক ভেঙ্গে দেওয়া হয়। কিন্তু অটো না চালালে তো স্ত্রী সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকব। ক্ষুধার্ত মানুষকে কেন খাবার দেওয়া হয়না? এ কেমন লকডাউন। আমরা এমন লক ডাউন মানিনা।


তারা আরো বলেন, দেশের দূর্যোগময় মুহুর্তে জরুরি পরিসেবাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অটোও ব্যবহার করা হোক। লকডাউনের জেরে রাস্তায় অটো না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর পরিস্থিতিতে দিন কীভাবে গুজরান করবেন তা নিয়েই অটোচালকদেও যেন কষ্টের সীমা নাই। তাই তারা সাহায্যের দাবীতে ত মাননীয় সাংসদ সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 


এ ব্যাপারে বন্দর বেবী-সিএনজি শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি যুবলীগ নেতা খান মাসুদ বলেন, করোনা সংক্রমনে পরিবহন শ্রমিকরা বাইরে বের হতে না পারায় খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে। চলমান লক ডাউনে তারা অভাবের তাড়নায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে মাননীয় সাংসদ সেলিম ওসমান ও বন্দর উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 
 

সম্পর্কিত বিষয়: