প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে ফতুল্লার মুসলিমনগরে মাদকের বাজার খুলে বসেছে মাদক ব্যবসায়ী সহোদর চার ভাই। এরা হলেন- মোক্তারের ছেলে আল আমিন, শাহাদাত, তানভীর ও সানি।
মুসলিমনগর দক্ষিণপাড়া থেকে শুরু করে নরসিংপুর তারা স্পিনিং মিল পর্যন্ত এলাকা জুড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি হয় মাদক। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না।
শুধু মাদক ব্যবসায় নয়, এই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশাল একটি ছিনতাইকারী চক্র। যে চক্রটি সন্ধ্যা হলেই শাহিল গ্রুপের আশেপাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা-মোবাইল কেড়ে নেয়।
কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা, সোর্স, কথিত সাংবাদিক ও কয়েকজন স্থানীয় মাতব্বর এই চক্রটিকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
জানা যায়, শ্রমিক অধ্যুসিত মুসলিমনগর এলাকায় চার ভাই গড়ে তুলেছেন মাদকের হাট। এ হাটে গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা বিক্রি হয়। সকাল হলেই শাহিল গ্রুপের সামনে মাঠে অবস্থান নেয় শাহাদাত, সানি, আল আমিন ও তানভীরের নিয়োগকৃত সেলসম্যানরা।
মাদক সেবীরা এসে চাহিদামতো মাদক সংগ্রহ করে সটকে পড়ে। প্রতিদিন এ স্পটে এক মন গাঁজা, দুই হাজার পিছ ইয়াবা ও কয়েকশ’ পুড়িয়া হেরোইন বিক্রি হয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের টিম অভিযান চালালেও তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে না।
কারন চার ভাইয়ের সিন্ডিকেট মুসলিমনগর দক্ষিণ পাড়া থেকে শুরু করে নরসিংপুর শামসুল আলমের মোড় পর্যন্ত এলাকা জুড়ে নিজেদের সোর্সদের নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। পুলিশ অভিযানে গেলে আগেই তাদের কাছে খবর চলে যায়। তখন মাদক বিক্রেতারা স্পট থেকে পালিয়ে যায়।
সূত্রমতে, চার ভাইয়ের এই স্পটের মাদক বিক্রিতে রয়েছে ১৫-২০ জন সেলস্ম্যান। তাছাড়া মাদক বহনে তারা ব্যবহার করছে ৮ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের। কোন প্রকার রাখ-ঢাক না রেখেই এরা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে মাদক।
স্থানীয়দের অনেকেই মাদক বেঁচা-কেনার প্রতিবাদ করায় হতে হয়েছে নাজেহাল। ফলে এখন আর কেউ তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধে প্রতিবাদ করার সাহসটুকু পর্যন্ত করেনা। আর তাই তাদের এই মাদক ব্যবসা বন্ধে জেলা আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবী করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর নূরে আযম মিয়া জানান, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে আমরা ছাড় দেবো না। অচিরেই চিহ্নিত এই মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।