
ভয়াবহ রূপ নিয়ে আসছে ডেঙ্গু। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ডেঙ্গু ইউনিট না থাকায় সিট স্বল্পতার কারনে সাধারন রোগীদের পাশেই বিছানো হচ্ছে ডেঙ্গু রোগীদের বেড। চারদিকে মশারী দিয়ে চিকিৎসা চলছে রোগীদের।
তবে নার্স আর চিকিৎসকরা তেমন দেখাশুনা করছেন না বলে জানিয়েছেন রোগীরা। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি আছে প্রায় অর্ধ ডজন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে শিশু রোগী রয়েছে একজন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মৌসুম শুরুর আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তথ্যমতে,টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা বন্দরে আকিজ কোম্পানীতে কর্মরত দুই শ্রমিক তিনদিন ধরে ডেঙ্গু জ¦ড়ে আক্রান্ত হয়ে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। মদনগঞ্জ থেকে এসেছে আরেকটি পরিবার। এছাড়াও আরো কয়েকস্থান থেকে আরো দুইজন ডেঙ্গু জ¦ড়ে শয্যাসায়ী রয়েছে। এরমধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এবার ডেঙ্গুর ধরণ ভিন্ন রকম। অনেক রোগীরই পেট ফুলে যাচ্ছে। ফুসফুসে পানি জমছে। দ্রুত রক্তচাপও কমছে।
এ ব্যাপারে রোগীর স্বজনরা বলেন,৩দিন ধরে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় ডেঙ্গু রোগীদের সাধারন রোগীর পাশেই রাখা হচ্ছে। তবে সেবার মান খুবই খারাপ। রোগীর খবর নিতে নিচতলা থেকে খবর দিতে হয়। বাইরে থেকে মশারী কিনে রোগীকে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নার্স ও ডাক্তারদের তেমন তৎপরতা নেই বললেই চলে।
চিকিৎসকরা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রোগী সংখ্যা কম। তবে ডেঙ্গু ইউনিট না থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে চিকিৎসার কোন কমতি হচ্ছে না। জ্বর, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া হলে দেরি না করে ডেঙ্গু দ্রুত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের।