নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৫ অক্টোবর ২০২৫

সোনারগাঁয়ে হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:৫৬, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

সোনারগাঁয়ে হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় হামেশা ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করে। সোনারগাঁ থানা পুলিশ নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় হামেশা ফুড লিমিটেড নামের একটি কারখানা খুলে আসাদুল ইসলাম আটা-ময়দার ব্যবসা করেন।

ব্যবসার নাম করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ঢাকার অর্থঋণ আদালতে তার বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলায় দায়ের করেন ভূক্তভোগীরা। সেই মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

সেসব মামলার ওয়ারেন্ট মূলে শুক্রবার ভোরে পুলিশের কাউন্টার  টেরোরিজম ইউনিট তাকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে সকাল ১০টার দিকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুল ইসলাম সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ওরফে ডা. মাহমুদের ছেলে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ইমাম পরিচয়ে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করেন। অর্থ আদায় করতে  গেলে বিভিন্ন সময় তিনি পাওনাদারদের মারধর ও হুমকি ধামকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা ও একাধিক সাধারণ ডায়েরী রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গত ৬  সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার তানভীর ফ্লাওয়ার এন্ড ডাল মিলসের কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  

অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসাদুল ইসলামের হামেশা ফুডের সঙ্গে তানভীর ফ্লাওয়ার এন্ড ডাল মিলসের ব্যবসা ছিল। ব্যবসার সূত্রে আসাদুল তানভীর ফ্লাওয়ার মিলের ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার কাঁচামাল প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন।

আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত চাইতে গেলে আসাদুল ইসলাম ভূক্তভোগী মাহমুদ হোসাইনকে মারধর করে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন। পরবর্তীতে আসাদুল ইসলাম পাওনা টাকা না দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।