
নারায়ণগঞ্জে ২ লাখের অধিক শিশুকে টাইফয়েড টিকা দিবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সিটি এলাকার তিনটি স্থায়ী কেন্দ্রে ১০ কার্যদিবস চলবে এ কার্যক্রম। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার নাফিয়া ইসলাম।
তিনি বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ১০ কার্যদিবস পর্যন্ত প্রাথমিক-প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। সিটি করেপোরেশন এলাকায় তিনটি জোনে মিলিয়ে মোট ২,১৪,১১৮ জন শিশুকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চল (জোন-১) এ ১৭৫টি স্কুলে ৬৭,৬৭০ জন এবং ৩৮টি কমিউনিটি কেন্দ্রে ২৭,৬৭০ জনসহ মোট ৯৫,৩৩০ জন। নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল (জোন-২) এ ১৬৮টি স্কুলে ৪২,৯৯৬ জন এবং ৩৮টি কমিউনিটি কেন্দ্রে ১৯,০৯৭ জনসহ মোট ৬৪,৪৬৩ জন।
কদম রসুল অঞ্চল (জোন-৩) এ ১২৫টি স্কুলে ৩৮,৬৭৩ জন এবং ৩৩টি কমিউনিটি কেন্দ্রে ১৪,৪৫৯ জনসহ মোট ৫৪,৮০৮ জন।
এছাড়াও ৯ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ৮ কার্যদিবস সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকার তিনটি জোনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব নূর কুতুবুল আলম, ইপিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন, মুর্শিদা আক্তার, হাফিজ উদ্দিন খাঁন।
এসময় নূর কুতুবুল আলম বলেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। কারণ এত বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা দেয়ার নজির অন্য কোন দেশে নেই।
তিনি আরও বলেন, টিকা নিয়ে অনেক সময় ভুল ধারণা ও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা রাখতে আহবান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়-দেশে প্রতিবছর প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় ৮,০০০ জনের মৃত্যু ঘটে। আক্রান্তদের অধিকাংশই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।
গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ (এইউ) ২০২১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪,৭৭,৫১৮ জন টাইফয়েড রোগী ছিল, অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৯০ জন টাইফয়েডে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৬১ শতাংশই ১৫ বছরের নিচের শিশু।
সম্মেলনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এবং বৈশ্বিকভাবে ঔষধ-প্রতিরোধী টাইফয়েডের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বে টাইফয়েডে আক্রান্তের হার বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি।