নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

১৮ অক্টোবর ২০২৫

আড়াইহাজারে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:২৭, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

আড়াইহাজারে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০

আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির ২ পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।  তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মেঘনাবেষ্টিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সময় উভয় পক্ষ গুলি বিনিময়, ককটেল বিস্ফোরণ ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ একে অপরের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।  আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষর্শীরা জানান, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি কবির হোসেন সাথে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফকির জহিরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। 

কবির হোসেন তার বলয় ভারী করার জন্য ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেনের অনুসারীদের দলে বেড়ান। এনিয়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার বিকেলে যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম ফকিরের লোকজনের সাথে বিএনপি নেতা কবির হোসেনের লোকজনের বাগবিতণ্ডা ঘটে।

পূর্বের ঘটনা  ছাড়ও সম্প্রতি জহিরুল ইসলামের চাচা রিপনকে হত্যার ঘটনায় ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার আসামীরা জামিন না নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে সংঘর্ষের সুত্রপাত ঘটে।

এই সময়  খালিয়ারচর পশ্চিমপাড়া ফকির বাড়ি জামে মসজিদের সামনে উভয় পক্ষের শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রসহ নিয়ে সংঘর্ষে  লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় গুলাগুলির ঘটনাও ঘটে।

ঘটনার সময় এলাকা লোকজন আতঙ্কে ছুটাছুটি করতে থাকে। রক্ষক্ষেত্র পরিণত হয় খালিয়ারচর এলাকা। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনে স্বাভাবিক করে।  তবে এখনও ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

আহতরা হচ্ছেন, খায়ের উদ্দিন (৪২), আব্দুল মতিন (৫০), জোনায়েত মিয়া (২৫), কালু মিয়া ((৩৭), খলিলুর রহমান ((৪০), আল আমিন (২৫), পশিদ মিয়া, (৫০), মনির হোসেন (৩৫), মজিবুর রহমান (৫০), সালাউদ্দিন মিয়া (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৫), শুভ মিয়া (২৫), জুনায়েদুর রহমান জুনায়েত (২৫), রাজীব মিয়া (১৫), আহাদ মিয়া (১৮), তামিম মিয়া (১৪), আব্দুর  রহিম (৪৫), আলমগীর হোসেন (৪২), স্বপন মিয়া ((৪০), আমির আলী ((৬০), জমির আলী (৫০), রাফি মিয়া ((২৪)। এদের মধ্যে খায়ের উদ্দিন (৪২), আব্দুল মতিন (৫০), জোনায়েত মিয়া (২৫), কালু মিয়া ((৩৭), খলিলুর রহমান ((৪০) ও  আল আমিনকে (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আড়াইহাজার, সোনাগাঁও, হোমনা ও মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

ফকির জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হত্যা মামলায় জামিন না নিয়ে কবিরের লোকজন গ্রামে প্রবেশ করতে চাইলে  এলাকাবাসী এতে বাধাঁ দেয়। এতে সংঘর্ষের সুত্রেপাত ঘটে।

অভিযোগ অস্বীকার করে কবির বলেন, কোন কারণ ছাড়াই জহিরের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। 

আড়াইহাজার  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ  মোতায়েন করা হয়েছে।