বন্দরে হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় ৪ আসামী গ্রেপ্তার হলেও রহস্য জনক কারনে মামলার অপর আসামীরা এখনও অধরা ছোয়ার বাইরে!
এদিকে গা ডাকা দেওয়া এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীরা মামলার বাদিনীসহ তার পরিবারবর্গকে মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য হত্যার হুমকীসহ রাতের আধারে বাদীর বসত ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার ( ১২ নভেম্বর) বন্দর থানা চত্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমনই অভিযোগ করেন আলমগীর হত্যা মামলার বাদীনি নিহতের ছোট বোন মোসাঃ কল্পনা বেগম।
তিনি বলেন, তার বড় ভাই আলমগীর হোসেন (৪৬)’কে হত্যা ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার ৫ নং আসামী জুয়েল, ৬ নং আসামী আনজু, ১৩ নং আসামী ফরহাদ ও ১৮ নং আসামী রাতুল গ্রেফতার পর কারাগারে আছে। রাতুল ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলাটি না’গঞ্জ জেলা পিবিআই তদন্ত করছে।
এদিকে এজাহার নামীয় সালেহনগর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে সোহেব, বাড়ৈপাড়া এলাকার মৃত আক্কাছ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল প্রকাশ কালু, বড়ৈপারা এলাকার মাসুদের ছেলে মোঃ পারভেজ, শাহীমসজিদ এলাকার ফিরোজ আলীর ছেলে রিপন, বালুচর এলাকার অকিল উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন, শাহীমসজিদ এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে সুমন, শাহীমসজিদ এলাকার রমজান মাঝির ছেলে রোবেল, শাহীমসজিদ এলাকার আব্দুল ছালামের ছেলে মনির হোসেন, শাহীমসজিদ এলাকার কাশেমের ছেলে রাসেল, সালেহনগর এলাকার কামালের ছেলে সুমন ও মহিউদ্দিনের ছেলে রাসেলগং বিভিন্ন মাধ্যমে বাদীনিসহ পরিবারবর্গকে মামলা থেকে নাম কাটানোর জন্য হত্যার হুমকীসহ রাতের আধারে বাদীর বসত ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
আসামীদের অব্যাহত হুমকির কারণে চরম নিরাপত্তা হীনতায় দিন যাপন করছে বাদীনিসহ তার পরিবারবর্গ। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়াসহ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হত্যা মামলার বাদিনীসহ তার পরিবার।


































