সোনারগাঁ পৌরসভার একাংশে বিচ্ছিন্নকৃত বৈধ গ্যাস সংযোগ ৭২ ঘন্টার মধ্যে চালুর দাবিতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস সংযোগ না দিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও তিতাস জোনাল অফিস ঘেরাও করার ঘোষনা দেওয়া হয়।
সোনারগাঁ পৌরবাসী’ ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে উদ্ভবগঞ্জ এলাকায় সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সামনে পালিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়। মানববন্ধনে কয়েক হাজার নারী পুরুষ অংশ নেন।
এর আগে বৈধ গ্যাস সংযোগ চালুর দাবিতে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলামের মাধ্যমে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ড্রিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানবন্ধন সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এসময় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে বারদী সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, সোনারগাঁ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মধু, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজী মজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী, নাসরিন সুলতানা ঝরা, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি, সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৈয়ব আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আমজাদ হোসেন, সোনারগাঁ পৌরসভার যুবলীগের সভাপতি আসাদ মিয়া, যুবলীগ নেতা ইসমাঈল আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তরা বলেন, আমরা বৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রাহক। তিতাস কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে বৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে করে সোনারগাঁ পৌর এলাকার একাংশের প্রায় ৮ হাজার পরিবার রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ওই পরিবারগুলো অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে। কেউ মাটির চুলা, কেউ ইট দিয়ে অস্থায়ী চুলা, আবার কেউ গ্যাস সিলেন্ডার ক্রয় করে তাদের রান্নাবান্না করছে।
আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বৈধ গ্যাস সংযোগ না দিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও তিতাস জোনাল অফিস ঘেরাও করার ঘোষনা দেওয়া হয়। এছাড়াও অবৈধ সংযোগ গুলো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈধ করে নেওয়ার দাবী জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন দুপুর থেকে দৈলেরবাগ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ড্রিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাপ্লাই ইউনিট থেকে কোন নোটিশ ছাড়াই সোনারগাঁ পৌরসভার একাংশের অবৈধ গ্যাসের সংযোগের পাশাপাশি বৈধ গ্যাস সংযোগে গ্যাস সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়। ফলে পৌর এলাকার ৮ হাজার পরিবার ভোগান্তিতে পড়েন।
