
ইসলামী আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন-এর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) বিকাল ৪টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরে সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ'র নেতৃত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, শেখ মুহাম্মদ হাসান আলী, মাওলানা শামসুল আলম, মুহা. ইসমাইল হোসেন, মুহা. শফিকুল ইসলাম, মুহা. মোস্তফা তালুকদার, সাইম হুসাইন, শাহ্ মুহাম্মদ ছগির হোসেন।
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লব খান, অঞ্জন দাস, পপি রানী সরকার, আলমগীর হোসেন আলম, জাহিদ সুজন, নাজমা বেগম, মোঃ ইব্রাহিম।
এ সময় নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা'র গ্রিন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ এবং গ্রেট ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ গেইট নির্মাণের উদ্যোগকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়।
এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং গণসংহতি আন্দোলন নেতৃবৃন্দ সাতটি বিষয়ে অনতিবিলম্ব যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
বিষয়গুলো হলো-
১. মাদক এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে শূণ্য নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে রাজনৈতিক পক্ষপাতহীন পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. করোনা মোকাবিলায় আইসিইউ সেবা চালু করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত করোনা টেষ্টের কীট সরবরাহ করতে হবে।
৪. ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে জনসচেতনতা উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ডেঙ্গু শনাক্তে পর্যাপ্ত কীট ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. যানজট নিরোসনে থ্রি হুইলার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং ফুটপাতকে পথচারীদের চলাচলের উপযুক্ত করতে হবে।
৬. দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামত কাজ সম্পন্ন করে জনভোগান্তি দূর করতে হবে।
৭. আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে সংগঠিত গুম-খুন হত্যাসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।