
নারায়ণগঞ্জের জুলাই আন্দোলনের সূচনার দিন ছিলো ১৪ জুলাই। আজ সোমবার বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা ও সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা এক যৌথ বিবৃতিতে জুলাই স্মৃতিগাথার বর্ণনা করেন।
সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেন, 'জুলাই ছিলো এই আগুনঝরা সময়। যেখানে ছিলো সাহস আর শক্তির মিশেলে ভয়কে জয়ের উদ্দীপনা। সময় তখন ১১, ১২ ও ১৩ জুলাই যেইদিনগুলোতে ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীরা নির্ঘুম রাত কাটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের সমর্থন যুগিয়ে তা সংগঠিত করার কাজে। পরবর্তীতে ১৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জের অন্য সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে ১৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভের ঘোষণা হয়।
আমাদের স্লোগানে বক্তৃতায় আমরা স্পষ্ট উচ্চারণ করেছিলাম কোনো বিভেদ-বৈষম্য নয়, আমরা চাই সুযোগের সমতা। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে কাউকে অস্বিকার বা তাচ্ছিল্য নয় বরং প্রত্যেকের ন্যয্য অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা বলেন, "১৪ জুলাই সকাল ১০ টায় আমরা মিনারের বেদিতে বসে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড লিখা শুরু করি।
শহিদ মিনারে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, ছাত্রফ্রন্ট আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ইফাদ ইমতিয়াজ অয়ন্ত, ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মহিবুল্লাহ, তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা, মহিলা কলেজের তানজিলা, নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস নিসা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম।
শহীদ মিনারের বেদির সামনে সভাপতি ফারহানা মুনা রঙ দিয়ে লিখেছিলেন 'কোটা সংস্কার চাই'।
মিনার থেকে মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভে আমরা মিছিল শেষ করি। পরেরদিন একইভাবে শহীদ মিনারে জমায়েতের ঘোষণা দিয়ে আমরা আমাদের কর্মসূচি সমাপ্ত করি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি সৌরভ সেন, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক তাইরান আবাবিল রোজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মৌমিতা আক্তার, অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধা, রাজনৈতিক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মুক্ত শেখ, ছাত্রফ্রন্ট জেলা সম্পাদক নাসিমা সরদার।
৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেয়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বিগত ফ্যাসিবাদের সময়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে। ঠিক একইভাবে জুলাইয়ের প্রেরণাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার তথা বাংলাদেশের ভিত্তি বিনির্মাণের লড়াইয়ে ছাত্র ফেডারেশন সকল সময়ই জীবন বাজি রেখে লড়াই চালিয়ে যাবে।