নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

১৫ জুলাই ২০২৫

শহীদদের শ্রদ্ধা করার উপায় হচ্ছে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:০০, ১৪ জুলাই ২০২৫

শহীদদের শ্রদ্ধা করার উপায় হচ্ছে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী, ছাত্র-জনতা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে, বৈষম্যমুক্ত করেছে। তাদের ত্যাগের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত দেশ পেয়েছি। এই জুলাইকে স্মরণ করে আজ আমরা সবাই আজ একত্রিত হয়েছি। জুলাইকে আমাদের সবসময় স্মরণ করতে হবে। 

এই নারায়ণগঞ্জে ৫৬জন শহীদ হয়েছেন। বুলেটের সামনে সেদিন তারা বুক পেতে দিয়েছিল। আর এই ৫৬ শহীদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সন্তান ছিল ২১জন। তাদের স্মরণে এবং তাদের পরিবার যে এতো বড় আত্মত্যাগ করেছে তা স্মরণে আজ নারায়ণগঞ্জে শহীদ স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণ করা হয়েছে। 

তাঁরা এক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জীবন দিয়েছিল। আর ওই উদ্দেশ্য হলো বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাদের শ্রদ্ধা করার একটি উপায় হচ্ছে দোষীদের বিচার কাজ নিশ্চিত করা।

সোমবার বিকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জে শহীদদের স্মরণে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জে নতুন সড়কের পাশে জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশের প্রথম স্মৃতি স্তম্ব উদ্বোধন করেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের ৫ জন উপদেষ্টা।

স্মৃতি স্তম্ব উদ্বোধনের আগে উপদেষ্টারা শহীদ পরিবার ও আহতদের ফুলেল শুভেচছা জানান এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। 

তিনি আরও বলেন, আর যেনো বাংলাদেশের সরকার, বাংলাদেশের কোনো বাহিনী নিজ দেশের মানুষের উপর গুলি চালাতে না পারে। আমরা এই বিচার প্রক্রিয়া সামনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

আমরা শুধু নিহত করার বিচারই নয় মানুষকে অন্ধ করার, পঙ্গু করার বিচারও করবো। মোটকথা যারা যৌক্তিক আন্দোলনে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করেছে সে বিচার আমরা সম্পন্ন করবো।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল তা হলো দেশকে বৈষম্যমুক্ত করা। আর এটি করার একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। শুধু একটি উপায়েই দেশকে গণতন্ত্রমুক্ত করা যাবে না। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

এর আগেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলন করতে হয়েছিল। জুলাইতে যদি ছাত্র-জনতা বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে না দিতো, নির্ভীক না হতো তাহলে ৫ই আগস্ট ঘটতো না। আর আমরাও এই জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না।’

স্মৃতিস্তম্ব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা হলেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির  খান। 
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের  নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও বিশিষ্ট জনরা। সবশেষে উপদেষ্টারা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।