নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

১৫ জুলাই ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জকে চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত ঘোষনা করলেন গিয়াসউদ্দিন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:৪২, ১৪ জুলাই ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জকে চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত ঘোষনা করলেন গিয়াসউদ্দিন

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আজ থেকে আমার এলাকা তথা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জকে চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত ঘোষনা করলাম। এখন থেকে কেউ চাদাঁবাজি সন্ত্রাসী করতে পারবে না এবং কেউ চাদাঁ দিতে পারবে না। 

এখানে চাদাঁবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করে গেছেন আওয়ামী দোসর সাত খুনের ফাসির আসামী নুর হোসেন পরিবার এখনো সে জেল খানায় বসে টেলিফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অরাজকতা করছে। কেউ চাঁদা চাইতে এলে তার হাত ভেঙ্গে দিতে হবে। 

দেশজুড়ে অব্যাহত সন্ত্রাস চাদাবাঁজদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

সোমবার ১৪ জুলাই সকালে ঢাকা -চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন বাংলাদেশের জেল কর্তৃপক্ষে সর্তক করে বলেন, জেল খানায় বসে যদি নুর হোসেন কোন অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এর দায়ভার আপনাদের নিতে হবে। চাদাঁবাজ সন্ত্রাসীদের হুশিয়ার করে বলেন কেউ চাদাঁবাজি করলে তার হাত পা ভেঙ্গে দিবেন।

ব্যাবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন কাউকে চাদাঁ দিবেন না যদি কেউ চাদাঁ দাবি করে তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবেন আর যদি আপনারা না পারেন তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবেন আমরা এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবো। 

তিনি বলেন, নারায়ণঞ্জে একজন গডফাদার ছিল শামীম ওসমান তার লালিত সন্ত্রাসী ছিলো এই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের সাত খুনের ফাসিঁর প্রধান আসামি। সে অত্র এলাকায় নগ্ন নিত্য, জুয়া,মদ নেশা বিক্রি করে স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল।

সেদিন যারা আওয়ামী লীগের নেতা ছিল শামীম ওসমানের দোসর তারা নামাজ পড়ে রোজা করে তারাও নগ্ন নৃত্য দেখার জন্য এবং ভাগ বাটোয়ারা নেওয়ার জন্য বসে ছিল । এগুলোর প্রমান আছে আমাদের কাছে।

আজকে তারা পলাতক সাত খুনের যে প্রধান আসামি তার ভাই এবং তার ভাতিজা এখানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিল। কিভাবে নির্বাচিত হয়েছিল তা আপনারা জানেন। নির্বাচিত হয়ে  কিভাবে লুটপাট করেছে,কিভাবে এলাকা অন্যায় অত্যাচার করেছে, মানুষের জায়গা জমি দখল করেছে, চাঁদাবাজি করেছে,এগুলা সব আপনারা জানেন।

আজকে তারা পলাতক।  পলাতক কোথায় তাও আমরা জানি। ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায়। পলাতক থেকেও  এবং সন্ত্রাসী সাত খুনের প্রধান আসামি জেলখানা থেকেও ফোনের মাধ্যমে  সমস্ত সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ করে এই এলাকা চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে।  কিন্তু তারা বিএনপিকে দোষারোপ করছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ সভাপতি ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, মহানগর শ্রমিকদলের আহবায়ক এস এম আসলাম, থানার সহ সভাপতি রওশন আলী, যুবদলের সাবেক আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র নেতা শাহজালাল কালু প্রমুখ।