
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘বিভিন্ন জেলায় ‘জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গণভবনকে একটা ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাদুঘর গড়ে তুলার জন্য কাজ করছে। ৫ আগস্টের আগেই এটার উদ্বোধন করা হবে। এটা স্বৈরাচারের ঠিকানা।
আমরা এই ঠিকানাকে সংরক্ষণ করতে চাই দেখাতে চাই। এখানে ফ্যাসিবাদ কিভাবে মানুষকে অত্যাচার করতো। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি শহীদদের সমস্ত কবরগুলো সংরক্ষণ করার জন্য। আমরা কাজগুলো শেষ করতে চাই। তবে সংগ্রামের ধারা শেষ করতে পারবো এটা আপনাদের কাছে দিয়ে যাবো।
আপনারা অগ্নিযুগের সন্তান আগুন হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। আপনারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বাংলাদেশে যেন কখনও কোনো আধিপত্যবাদী শক্তি চোখ রাঙাতে না পারে। ফ্যাসিবাদ না আসতে পারে। আসার চেষ্টাও করা হয় সেটাকে দমন করা হবে।’
সোমবার বিকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জে শহীদদের স্মরণে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জে নতুন সড়কের পাশে জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশের প্রথম স্মৃতি স্তম্ব উদ্বোধন করেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের ৫ জন উপদেষ্টা।
স্মৃতি স্তম্ব উদ্বোধনের আগে উপদেষ্টারা শহীদ পরিবার ও আহতদের ফুলেল শুভেচছা জানান এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘পুঁজিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের সংগ্রাম চালিয়েছিলো। এই সংগ্রামে বহু মানুষ গুম হয়ে যায়। বিচার বহির্ভূত নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। অনেক আয়নাঘর তৈরি করা হয়েছিলো। এই সংগ্রামেরর এক পর্যায়ের বাংলাদেশের তরুণ সমাজ ছাত্ররা বৈষ্যম্যের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে এবং অগ্নিকন্যারাও নেমে এসেছিলেন রাজপথে।’
স্মৃতি স্তম্ব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা হলেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও বিশিষ্ট জনরা। সবশেষে উপদেষ্টারা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।