বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে দিনভর নারায়ণগঞ্জে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি এবং কখনো মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বাতাসও। এতে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। আর রোজগার হয়নি বলে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ।
শহরের চাষাড়া, দুই নং রেলগেইট, নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল, কালীরবাজার, নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়- এসব এলাকার সড়কেও পানি জমেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসে ছিল শীতল পরশ। এজন্য বাইরে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে।
আর বৃষ্টির কারণে শহরের মানুষ আজ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা একেবারেই বাসা থেকে বের না হয়ে পারছেন না তারাই ছুটছেন এই বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে।
এদিকে রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বুধবার সারাদিন এতে শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে ছিল। জলাবদ্ধ এসব সড়কে চলাচলে রীতিমতো নাকাল হতে হয়েছে শহরবাসীকে। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় ভোগান্তির শঙ্কায় অনেকে বাইরে কাজ থাকলেও বের হননি। অনেকে বের হয়ে ভিজে একাকার হয়েছেন।
শহরের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন সকালে জরুরি একটি কাজ ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় নেমে দেখি পানিতে ভরপুর। রিকশার অপেক্ষায় আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো রিকশা পাইনি। ভেবেছিলাম, একটি রিকশায় প্রধান সড়ক পর্যন্ত যাব, তারপর সেখান থেকে বাসে চড়ব। কিন্তু বাসার সামনের রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় আর বের হতে পারিনি। সকালে ঠাণ্ডার মধ্যে রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পানি মাড়িয়ে বের হতে মনও সায় দেয়নি।
অন্যদিকে বুধবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আরও দেখা গেছে, স্বাভাবিক দিনের চেয়ে বাইরে মানুষের উপস্থিতি ছিল অর্ধেকেরও কম। মার্কেট, দোকানপাট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে সেসব জায়গায় মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। চা, পান, সিগারেটের দোকানগুলোতে খেটে খাওয়া মানুষকে বসে খোশগল্প করে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।