গরু খামারে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে পারভেজ (২২) ও মিলন (৩০) নামে ২ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। ওই সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি ধারালো দা ও ১টি তালা কাটার যন্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো বন্দর উপজেলার পিচ কামতাল এলাকার রব মিয়ার ছেলে ডাকাত দলের সদস্য পারভেজ (২২) ও একই এলাকার নুরুল ইসলাম মিয়ার ছেলে মিলন (৩০)।
গ্রেপ্তারকৃত ২ ডাকাতকে রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানায় রুজুকৃত ১৭(১১)২৩ নং ডাকাতি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত পৌনে ৪টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বারপাড়াস্থ জনৈক হাজী আলী হোসেন মিয়ার গরু খামারে এ ডাকাতি প্রস্তুতি ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আলী ইসলাম বাদী হয়ে গেড়্রপ্তারকৃত ২ ডাকাতসহ ৯ ডাকাতের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা রুজু করে।
যার মামলা নং- ১৭(১১)২৩ ধারা- ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড-১৮৬০। মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের এসআই আলী ইসলামসহ সঙ্গীয় র্ফোস কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের জিডিনং- ৩৯৫ মূলে গত শনিবার রাতে লাঙ্গলবন্ধ বাসস্ট্যান্ডে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল ডাকাতি করার জন্য দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুছাপুর ইউনিয়নের বারপাড়াস্থ জনৈক হাজী আলী হোসেন মিয়ার গরু খামারে সামনে অবস্থান করছে।
পরে উল্লেখিত পুলিশ বিষয়টি উদ্ভর্দন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য উল্লেখিত স্থানে পৌছানোর মাত্র ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সময় পারভেজ ও মিলন নামে ২ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি ধারালো দা ও ১টি কাটার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বন্দর বারপাড়া এলাকার অহেদ মিয়ার ছেলে দিদার (২৫) একই এলাকার মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে তিলক (২৫) কামতাল এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে মাইনুল (৩৫) নন্দীবাড়ী এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে অপু (২৫) মনার বাড়ী এলাকার বাবু (২০) যুগীপাড়া এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে বিল্লাল (২৫) ও পিচ কামতাল এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে মিলন (২৪) কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।