
ইয়াবা সেবনের টাকা চেয়ে না পেয়ে ফরহাদ (৪০) নামক এক দিনমজুর (রাজমিস্ত্রি) কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ফতুল্লার লালপুর-পৌষাপুকুর পাড় এলাকার মূর্তিমান আতংক চিন্থিত সন্ত্রাসী রিয়াজ উদ্দিন বাবু ওরফে কিলার বাবু(৩৫)।
হাতুড়ি পেটানোর ঘটনা বা দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারন করা হচ্ছে সন্দেহে দাড়িয়ে থাকা সোহেল(১৩) নামক অপর এক কিশোরকেও মারধর করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে এগারোটায় ফতুল্লা মডেল থানার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকায়।
এ ঘটনায় মারধরের শিকার কেউ যেনো থানায় অভিযোগ বা আইনি সহোযোগিতা না গ্রহন করে এ জন্য উভয়ের বাড়ীতে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। ফলে হামলার শিকার কেউ থানায় অভিযোগ করতে সাহস করছেনা।
জানা যায়, হামলার শিকার ফরহাদ একজন সাধারন দিনমজুর (রাজমিস্ত্রি)। রোববার রাত এগারোটার দিকে বাসায় ফেরার পথে কিলার বাবু ইয়াবা সেবনের জন্য ফরহাদের নিকট একহাজার টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় কিলার বাবু তার হাতে থাকা লোহার তৈরি হাতুড়ি দিয়ে পিটেয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় পাশে দাড়িয়ে ছিলো কিশোর সোহেল। মোবাইল ফোনে হাতুড়ি দিয়ে পিটানো দৃশ্য ধারন করা হচ্ছে সন্দেহে তাকেও মারধর করা হয় বলে স্থানীয় প্রতক্ষ্যদশীরা জানিয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, রিয়াজ উদ্দিন বাবু ওরফে কিলার বাবু লালপুর পৌষার পুকুরপাড়ের মৃত হাফিজউদ্দিনের পুত্র।
ছিনতাই,মাদক ব্যবসা,চাঁদাবাজী,লুটতরাজ জবর- দখল সহ সমাজ বিরোধী নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসীদের জীবন যাত্রাকে করে তুলেছে অসহনীয় যন্ত্রণাময়। মূর্তিমান আতংক কিলার বাবুর জিম্মিদশা থেকে জেলার আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবী করেছে স্থানীয় সকল শ্রেনীর পেশাজীবী মানুষ।
কিলার বাবু সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ফতুল্লার পঞ্চবটী এলাকা থেকে চাঁদাবাজী মামলায় গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারের ২০-২৫ দিনের মধ্যে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো সক্রিয় উঠে চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, লুটতরাজসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে।
কিলার বাবুর রয়েছে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনীর সকললই মাদকাসক্ত।কিলার বাবু নিজেও মাদক সেবী। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী।
স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে, কিলার বাবু একটি বাহিনী গড়ে তুলে লালপুর, পৌষাপুকুরপাড়, টাগারপাড় সহ আশপাশ এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ছিনতাই সহ নানা অপরাধের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসীর জীবন-যাত্রাকে করে তুলেছিলো অসহনীয় যন্ত্রণাময়। শীর্ষস্থানীয় এই চাঁদাবাজ এক নারী কে হত্যার করার পর কিলার বাবু নামে এলাকায় পরিচিত হয়।
কিলার বাবু নামে পরিচিতি লাভের পর সে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরতন সড়কের পঞ্চবটী বন বিভাগ থেকে লোহার মার্কেট পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের জন্য গড়ে তুলেছিলো বিশাল এক বাহিনী যা সে সময় নাউড়া বা ন্যাড়া বাহিনী নামে পরচিতি লাভ করেছিলো।
ভাগ- বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে এই বাহনীর সদস্যদের হাতে খুন হয় রুবেল ওরফে কুত্তা রুবেল। এরপর এই বাহিনী আর বেশী দিন টিকেনি। পরবর্তীতে কিলার বাবু লালপুর,পৌষাপুকুর পাড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে গড়ে তুলে নিজস্ব একটি বাহিনী
২০১৫ সালের ১ জুন ফতুল্লার ডিআইটি মাঠে প্রকাশ্যে দিবালোকে ফরহাদ নামক এক যুবক কে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার চেস্টা করে কিলার বাবু সহ অপর সন্ত্রাসীরা। এ সময় স্থানীয় মহলে আতংক ছড়াতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকাঁ গুলিও ছুড়ে আলোচনা আসে কিলার বাবু।