নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার ইসদাইরে দুই মাদক ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত পথচারী রাজমিস্ত্রী রুবেল (৩৫) নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পূর্ব ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার ফজলুর রহমানের পুত্র সম্রাট (২০) জামতলা রশিদ ম্যানশনের শহিদুল ইসলামের পুত্র সহোদর দুই ভাই সেলিম (৩৫), আলী (২৮), ইসদাইর বস্তির আব্দুল মজিদের পুত্র রাকিব ওরফে টাইগার (২৫), পূর্ব ইসদাইরের সালামের প্ত্রু শিমুল (৩৮) ও একই এলাকার মিন্টুর পুত্র বিজয় (১৬)।
নিহত রুবেলের ভাই রাজিব হাসান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৯ জুন) ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত ৬ আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে সোমবার (২৮ জুন) রাত ১০ টার দিকে চাষাড়া রেল স্টেশন এলাকায় ফতুল্লার ইসদাইরের শামীম ও জুয়েল গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে সন্ত্রাসী হামলার রক্তাক্ত জখম হয়ে নিহত হয় রুবেল। ওই সময় সে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিল। নিহত রুবেল লালমনির হাট জেলার আদিতমারী থানার গিলবাড়ীর সামছুল আলম বাবলার পুত্র ও জামতলা ধোপাপট্টিস্থ তুহিন মিয়ার বাসায় ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রী'র কাজ করতেন।
জানা যায়, নিহত রুবেল সোমবার সন্ধ্যায় জামতলা ধোপাপট্টিস্থ ভাড়া বাসা থেকে পূর্ব পরিচিত রনির সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে ইসদাইর বাজার সংলগ্ন জয়যাত্রা ক্লাবের সামনে সন্ত্রাসী শামীম-জুয়েলের গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এসময় রুবেল উভয় গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝে পরে যায়। এতে নিহত হয় রাজমিস্ত্রী রুবেল এবং সোহাগসহ অপর দুইজন আহত হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, সোমবার রাতে একটি ক্লাব ঘর দখলকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পথচারী ওই রাজমিস্ত্রি রুবেল সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রান হারায়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই রাজিব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেছে। ইতিমধ্যে মামলার এজাহারনামীয় ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহ্যত রয়েছে।