নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পরকীয়া প্রেমের টানে ১৩ লাখ টাকার স্বর্নালংকার নিয়ে গৃহবধু মিনারা আক্তার (১৯) ঘর ছাড়লেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর স্বামী ইয়াসিন আলভী (২২) স্ত্রী মিনারা আক্তার, শ্বাশুরি ময়না আক্তার (৫০) ও মিনারার বড়ো বোন সোনালী (২৭) কে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত মিনারা আক্তার নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকায় তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরে বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুর রহমান অভিযান চালিয়ে মিনারা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেন।
জানাগেছে, ২০২৩ সালের ২২ মে বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এলাকার বশির আহম্মেদ এর ছেলে ইয়াসিন আলভী এর সাথে নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার মো. ছলিম মিয়ার মেয়ে মিনারা আক্তারের ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
এরপর বেশকিছু দিন ইয়াসিন আলভী এবং মিনারা আক্তারের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিলো। হঠাৎ করে মিনারা আক্তার উশৃঙ্খল ও বেপরোয়াভাবে চলতে শুরু করে এবং পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের পরিবারের মধ্যে বহু তিক্ত ঘটনার উদ্ভবও হয়েছিল। ওই সময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় গৃহবধূ মিনারা আক্তার সকল অপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে পুনঃরায় সংসার শুরু করে। পরবর্তীতে আবার মিনারা আক্তার আরও এক জনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
একাধিক ফেইসবুক, টিকটক, ইমো আইডি ব্যবহার করে দেশে বিদেশে ভিডিও কলে অসামাজিক কাজেও লিপ্ত হয়। এতে উভয় পরিবারের লোকজন মিনারা আক্তারকে এই ব্যাপারে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও তাকে বিরত রাখতে পারে নাই।
ভুক্তভোগী ইয়াসিন আলভী জানান, বিষয়টি মিনারা আক্তারের বাবা-মা কে জানালে তার মা ময়না আক্তার এবং বোন সোনালী উল্টো তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় পরকিয়া প্রেমের টানে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল সকালে মিনারা ঘর থেকে অতি গোপনে ১২ ভরি স্বর্নালংকার (১টি স্বর্নের শীতা হার, স্বর্নের ১ জোড়া কানের দুল, ১টি স্বর্নের চেইন, ১ জোড়া স্বর্নের হাতের বালা, ১টি স্বর্নের টিকলী) যাহার আনুমানিক মূল্য ১৩ লাখ টাকা নিয়ে ,০০,০০০ (তের লক্ষ) টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর থেকে মিনারাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও সন্ধান না পেয়ে ১৪ জুলাই বন্দও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুর রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


































