নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুলিশের উপর বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা

সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা : আটক ১০

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৮:২০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে  ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা : আটক ১০

সিদ্ধিরগঞ্জে সাজ্জাদ হোসেন (২৪) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের আইলপাড়া কাটপট্টি এলাকার ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টিরির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সাজ্জাদ ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টিরির একটি গাড়িতে ঢিল ছুড়লে তাকে আটকে বেধড়ক মারধর করে ফ্যাক্টরির কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে অতিরিক্ত মারধরের ফলে সাজ্জাদ মৃত্যুবরণ করে। সে ওই এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।

এদিকে অমানবিকভাবে সাজ্জাদকে হত্যা করায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ভাংচুর চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের উপরও হামলা চালায়।

একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) হাসানুজ্জামান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে তাৎক্ষনিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। 

পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে ক্রাউন সিমেন্টের একটি মালবাহী গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-শ-১৩-০৪৪৫) আইলপাড়ার ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়ে এসও রোডের ঈদগাহের সামনে এলে প্রতিবন্ধি যুবক সাজ্জাদ গাড়িটিতে ঢিল মারে। এতে গাড়ির সামনের কাঁচটি ভেঙ্গে যায়। পরে চালক-হেলপারসহ অন্যরা যুবককে ছিনতাইকারী ভেবে আটক করে বেদম মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সাজ্জাদ। 

হাবিব নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে ওই রাস্তা দিয়ে যাবার সময় গাড়িচালক ও হেলপার মিলে সাজ্জাদকে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যায়। এসময় কয়েকজন নিষেধ করলেও কেউ শুনেনি। সকালে শুনলাম ছেলেটি মারা  গেছে। 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি। 

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) হাসানুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আটকদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো যাবে। 

পুলিশের উপর হামলা চালানো প্রশ্নে তিনি বলে, হৃদয়বিদারক ঘটনা ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয়রা সিমেন্ট কারখানাটি ভাংচুর চালালে আমাদের পুলিশ সদস্যরা তাদের থামানোর সময় একটু ঝামেলা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে।