
বৈষম্যবিরোধী একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আজমেরী ওসমানের পরিবারের সাথে গভির সর্ম্পক স্থাপনকারী কারাগারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতির অন্যতম সহযোগী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর বহু অপকর্মের হোতা আজিম সাউদ এখন বহাল তবিয়তে।
তিনি গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। আজিম সাউদ গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার রহমান সাউদের ছেলে। বর্তমানে বার্মাশীলসহ আশ-পাশ এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দলোনের সময় ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে এখনও এলাকায় রয়েছে আজিম সাউদ। সে আজমির ওসমানসহ কারাগারে থাকা যুবলীগ সন্ত্রাসী মতির গুপ্তচর হয়ে গোদনাইল বার্মাশীলসহ আশ-পাশ এলাকায় গোপনে নিষিদ্ধ ঘোষিত আ.লীগের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্ট করছে।
তবে বুঝার কোন উপায় নেই। সকাল থেকে রাত উঠাবসা করে বিএনপি'র নেতা-কর্মীদের সাথে আর আওয়ামী নেতাকর্মীদের গোপন তথ্য দিয়ে সংগঠিত করছে বলে চাউর রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, ফ্যাসিস্ট আ.লীগের সরকারের আমলে আজমির ওসমানসহ সন্ত্রাসী মতির ছত্রছায়ায় আজিম সাউদ গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার সাধারণ মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করে। আজিম, আজমির ওসমানসহ মতির সেল্টার থাকায় আওয়ামী সরকারের সময় তাকে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায়নি।
আওয়ামী সরকারের সময় বিএনপি-জামাত বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিছিলে যোগদান করেছিল আজিমসহ তার দোসরা। আওয়ামীলীগ সরকারের অবৈধ নির্বাচনেরও শামিম ওসমানের পক্ষে মিছিল মিটিং সমাবেশসহ নৌকার জন্য ভোট চেয়েছেন।
গত বছর ৫ আগষ্ট আ.লীগের সরকারের পতন হলে আজমির ওসমানের পরিবার ও সন্ত্রাসী মতিসহ তার বাহিনীর সাথে আত্মগোপনে চলে যায় আজিম।
পরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে সর্ম্পক করে আবার এলাকায় চলে এসে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেয়। এলাকাবাসীর দাবি এলাকার শান্তি বিনষ্টকারী আজিমসহ তার দোসরদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হোক।