
বন্দরে চাষকৃত পুকুর থেকে মাছ ধরতে বাধা দেওয়ার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় পিতা-পুত্র আহত হয়েছেন। আহতরা হলো আক্তার সজল (৫২) ও তার ছেলে আজিজুল হাকিম (২৩)।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মধ্যে আক্তার সজলকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত আক্তার, সজলের ভাতিজা তানজিল বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন রাতে হামলাকারি ইমন ও তার ভাই সাঈদ তাদের মা শান্তা বেগমের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করে।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে তানজিলসহ তার চাচা আক্তার সজল ও চাচাত ভাই আজিজুল হাকিমসহ অন্যান্য আরো ওয়ারিশন দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের পৈত্রিক পুকুরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতা গত শুক্রবার দুপুরে একই এলাকার ছবুল্লাহ মিয়ার ছেলে ইমন ছিপ দিয়ে চাষকৃত পুকুরে মাছ ধরলে ওই সময় অভিযোগের বাদী চাচাত ভাই আজিজুল হাকিম প্রতিপক্ষ ইমনকে মাছ ধরতে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ইমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই সাঈদ ও মা শান্তা বেগম সহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন ধারালো ছুরি, বাশের লাঠি সোঠা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অভিযোগের বাদী চাচাত ভাই আজিজুল হাকিমের উপর অতর্কিত হামলা করে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলা ফুল্য জখম করে।
পরে তার ডাক চিৎকারে তার পিতা আক্তার হোসেন এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা তাকেও বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ ইমন বাদী চাচাত ভাইকে লক্ষ্য করে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপ দিতে গেলে ওই সময় অভিযোগের ৩ নং বিবাদী শান্তা বেগম ১ নং বিবাদী ইমনকে ফিরাতে গিয়ে হাতে কোপ লাগে।
আহতদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগন উক্ত ব্যাক্তিদের সামনে বলে যে উক্ত বিষয়ে পুলিশি সহায়তা নিলে বা কোন মামলা মোকদ্দমা করিলে আমার চাচাতো ভাইকে জীবনে শেষ করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।