
আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন, জনগণের পাশে থাকুন। আমাদের সামর্থ্য কম হলেও আমরা জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, খুব শিগগিরই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কুতুবপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, এর আগে যারা সরকারে ছিল তারা জনগণের সেবক না হয়ে শোষক হয়েছিল। তারা জনগণের টাকা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটপাট করেছে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। গত রমজানে পেঁয়াজের কেজি ৩০০ টাকা, আলুর কেজি ১০০-১৫০ টাকা হয়েছিল। অথচ এই সবজিগুলো দেশেই উৎপাদিত হয়।
কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছিল, যাতে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা যায়। এসব অর্থ তৎকালীন বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী এবং তার আশেপাশের লোকজন ভাগ করে নিয়েছে, বিদেশে পাচার করেছে।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে দেওয়া হয়নি, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দেওয়া হয়নি। তবুও আমরা দেশ ছেড়ে যাইনি, জনগণের পাশে থেকেছি। আমরা জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, কিন্তু কখনো পালিয়ে যাইনি।
তিনি বলেন, একাত্তরে দেশ স্বাধীন করেছি, স্বাধীনভাবে কথা বলার ও মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকার জনগণকে সেই স্বাধীনতা দেয়নি। তাই ২০২৪-এর আন্দোলনে জনগণ রাস্তায় নেমেছে এবং তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।