নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পঞ্চবটী-চাষাড়া সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত, ঝুঁকি নিয়েই চলাচল

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:৪১, ১ অক্টোবর ২০২৪

পঞ্চবটী-চাষাড়া সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত, ঝুঁকি নিয়েই চলাচল

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটী থেকে চাষাড়া যাওয়া এবং শিল্প নগরী বিসিকের প্রবেশ মুখের সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী, সিএনজি, ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাসহ  মালিকানাধীন ব্যক্তিগত  যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। 

তাছাড়া ঘন্টার ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয় এ রাস্তায় চলাচলকারী সকল প্রকার যানবাহন কে। ১৫ মিনিটের সময় পারি দিতে ব্যায় হয় তিন ঘন্টা। দূর্ঘটনা শিকার হতে পারে জেনেও এ রাস্তায় চলাচলকারী সকল শ্রেনীর পেশাজীবি মানুষ ও স্কুল -কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে এ রাস্তা দিয়ে।

নারায়নগঞ্জ শহরের প্রবেশ ও বিসিক শিল্পনগরীর প্রবেশ মুখের অতিগুরুব পূর্ণ এ সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার অংশের পিচ কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় বহু সংখ্যক খানা খন্দের। দেখলে মনে হয় এ যেন সড়ক নয়, মরণ ফাঁদ।

একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের এসব খানা খন্দ পানিতে ভরে গিয়ে বিঘ্ন ঘটে যান চলাচলে। এভাবে বিপদের আশঙ্কা নিয়েই যান চলাচল করছে এই সড়কে। খানাখন্দে পরে প্রতিনিয়ত  সড়কে উল্টে পড়ছে সিএনজি, বেবি, ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা। আর বড় বড় পণ্যবাহী গর্তে পরে আটকে যাচ্ছে। 

কোন কোন ক্ষেত্রে গাড়ীর নিচের অংশ ভেঙ্গে রাস্তায় বিকল হয়ে পরে থাকে। ফলে দীর্ঘ জানযটের সৃস্টি হয়। বিগত দেড় মাসেরও বেশী সময় ধরে সড়কটির এ অবস্থা হলেও সংশ্লিস্ট মহলের  নেই কোন মাথা ব্যাথা।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করা হলে তারা জানায়, বৃস্টি হলে সড়কটির গর্তগুলো পানিতে ভরে গিয়ে যানবাহনের জন্য গোলকধাঁধা সৃষ্টি করে। ফলে ছোট যানবাহনগুলো এসব গর্তে পড়ে উল্টে যায়। ঢাকা - নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটী বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে মাসদাইর পর্যন্ত  অংশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। 

ওই অংশের গর্তগুলো এতটাই বড় যে সেগুলো বড় বড় যানবাহনের জন্যও ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গর্তগুলোর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বাস, ট্রাক, ট্রেইলারগুলোকে বিপজ্জনকভাবে হেলেদুলে যেতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ী লিটন জানান, তিনি তার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করে থাকেন। কিন্ত গত দু-তিন দিন চলাচলে তার গাড়ীর অধিকাংশ যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যা সেরে তুলতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে।

কলেজ ছাত্রী মহুয়া জানায়, জ্যাম এখানে নিত্য দিনের সঙ্গী। গত দুদিন বিকেল চারটার দিকে জামতলা থেকে কলবিকেল চারটার দিকে কোচিং শেষে তার পঞ্চবটীস্থ বাসায় ফিরতে সময় লেগেছে পাক্কা আড়াই ঘন্টা। অথচ জামতলা থেকে বাসায় ফিরতে তার সময় লাগার কথা সর্বচ্চো ১৫-২০ মিনিট।

গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক নিয়ে গত কয়েক দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়কটির ছবি দিয়ে অনেকই নিজ নিজ ভোাগন্তির কথা উল্লেখ্য করে নিজ নিজ আইডিতে পোস্ট করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি।