
বন্দরে পরকিয়া করে স্বামী ও অবুঝ ২ সন্তানকে ঘুমে রেখে ব্যবসায়ী কাজের নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও দেড়ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ২ সন্তানের জননী মৌসুমী বেগমের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হোসিয়ারি ব্যবসায়ী স্বামী পলাশ মিয়া বাদী হয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার ১২ দিন পর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাষান্ড স্ত্রী ও পরকিয়া প্রেমিক সোহানের নাম উল্লেখ করে আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৩টায় বন্দর মোল্লাবাড়ী দিঘিরপাড়স্থ জনৈক সাইফুল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূ পালিয়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ বছর পূর্বে বন্দর মোল্লাবাড়ী দিঘিরপাড় এলাকার সাইফুল মিয়ার ভাড়াটিয়া মনির হোসেন মিয়ার ছেলে হোসিয়ারী ব্যবসায়ী পলাশ মিয়ার সাথে একই থানার একরামপুর সিটি কলোনী এলাকার জতন লালের মেয়ে মৌসুমী সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ৯ বছরের কন্যা সন্তান ও ৩ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ২ সন্তানের জননী বের্পদা চলাফেরা করে আসছিল।
গত ১ বছর ধরে ২ সন্তানের জননী মৌসুমী পরকিয়া লিপ্ত হয়। পরকীয়ার সম্পর্কের কথা জানতে পেরে ব্যবসায়ী পলাশ তার স্ত্রী মৌসুমীকে বিভিন্ন সময়ে বাধা নিষেধ করে আসছে। এরপর গত ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৩ টায় স্বামী ও ২ সন্তানের মায়া কান্না ত্যাগ করে স্বামী জমানো নগদ টাকা ও দেড়ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
এর ধারাবাহিকতা শনিবার (৮ ফব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় মৌসুমী হুকুমে বন্দর খানবাড়ী এলাকার আবু সুফিয়ান মিয়ার ছেলে প্রেমিক সোহানসহ ৬/৭ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পলাশের হোসিয়ারী কারখানায় অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
ওই সময় দাবিকৃত টাকা না পেয়ে প্রেমিক সোহান ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশের ব্যবহারকৃত সিমসহ মোবাইল ফোন ইনফিনিক্স ব্যান্ডে যাহার সিম নম্বর- ০১৬৮৮-৫১০৯৬৮৬ ও ০১৯৯৪-২৬৩৩৪৮ এবং যার আনুমানিক মূল্য ১৬,০০০/- টাকা ছিনিয়ে নেয়।